কলকাতা: তালিবান দখলে চলে যাওয়া আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ‘সীমান্ত গান্ধী’র নাতনি ইয়াসমিন নিগার খান। যিনি কলকাতার বাসিন্দা। কাবুল থেকে ২০০০ কিলোমিটার দূরে বসে শহরের আফগানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ইয়াসমিন জানালেন আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে সচেষ্ট হোক ভারত।
আরও পড়ুন- প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও তাঁর পরিবারকে স্বাগত জানাল আরব সরকার
স্বাধীনতা আন্দোলনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন হান আবদুল গফফর খান। মহাত্মা গান্ধীর অহিংসার নীতিতে লড়াই করা ওই ব্যক্তি ‘সীমান্ত গান্ধী’ নামে পরিচিত। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে তাঁর নেতৃত্বে হয়েছিল অহিংস আন্দোলন। সেই ‘সীমান্ত গান্ধী’র বংশধর এখন রয়েছেন কলকাতায়। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বগের কথা।
আরও পড়ুন- মার্কসবাদীদের মঞ্চে অনিন্দ্য, রুপা: মন ভাঙলো শ্রীলেখা রাহুলের
গত রবিবার কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবান। তারপর থেকে ভয়ানক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ইয়াসমিন। তিনি বলেছেন, “কলকাতায় অনেক আফগান বসবাস করেন। তাঁরা নিজেদের পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন। কোনও প্রকার প্রতিরোধ ছাড়াই আফগানিস্তান দখল করল তালিবান। আগামী কয়েকদিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।”
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠন নিয়ে কাবুলে পরপর গোপন বৈঠক
এই অবস্থায় ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে আফগানিস্তানের শান্তি ফেরাতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ইয়াসমিন বলেছেন, “সিরিয়া, প্যালেস্তাইন বা অন্যান্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলিকে যেভাবে ভারত সাহায্য করেছে তেমন করেই আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়াক দিল্লি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমি এই আবেদন জানাব।”
আফগান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আশরাফ ঘানি পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। যার কারণে কাবুলের দখল নেওয়া অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে তালিবানের কাছে। যা নিয়ে ইয়াসমিন বলেছেন, “নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আর সাধারণ দরিদ্র মানুষ, মহিলা এবং শিশুদের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।” মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শান্তির বার্তা দিয়েছে তালিবান। সেই সঙ্গে সমাজে মহিলাদের চলাফেরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অনেক শিথিল করা হয়েছে। যদিও তালিবানকে বিশ্বাস করতে নারাজ ইয়াসমিন নিগার খান। তাঁর কথায়, “ওদের(তালিবান) বিশ্বাস নেই। এখন ওরা এক কথা বলছে পরে অন্য কাজ করবে।”