ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে চাকরিহারা ২৬ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী (Deprived Teachers)। আর তারপরেই বিক্ষোভে নামেন চাকরিহারারা। অবস্থান বিক্ষোভে বসেন এসএসসি ভবনের সামনে। এসএসসি চেয়ারম্যানকেও আটক করে রাখেন। তবে বেশকিছুদিনের অবস্থানের পর এবার এসএসসি অফিসের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নেবেন বলে জানান যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
কিন্তু কেন অবস্থান তুলে নেওয়ার কথা জানালেন তাঁরা?
স্কুলে স্কুলে পড়াশোনা লাটে উঠছে। শিক্ষকের অভাবে পঠনপাঠন প্রায় বন্ধের মুখে। তাই এবার তাঁরা অবস্থান তুলে স্কুলে যোগ দেবেন বলে জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এসএসসি তালিকা বিতর্ক অব্যাহত! এবার কী হল দেখে নিন
পাশাপাশি, সাংবাদিক বৈঠক থেকে তারা জানান, যোগ্যতাদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়ে ডিআই অফিসে গেছে সেখানে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করা হয়নি। অযোগ্য এবং কাজে যোগ দেয়নি এমন শিক্ষক কি কি কাজে নাম তালিকায় এসেছে। আজ স্কুল থেকে আওয়াজ করে যারা বদলি হয়ে গিয়েছে তাদের নাম বাদ গিয়েছে,
যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অনেকের নাম বাদ দিয়ে আজ এবং আগামিকালের মধ্যে এই তালিকা সংশোধিত না হলে ফের বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেব আমরা। আদালতের নির্দেশ রয়েছে সেই কারণে আমরা স্কুলে ফিরছি। অবশেষে এসএসসি ভবনের সামনে থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হল।
আন্দোলনরত শিক্ষক বৃন্দাবন ঘোষ তিনি জানান, ‘গতকাল অযোগ্যরা এখানে এসে মিছিল করে অবস্থান শুরু করেছেন এবং যোগ্যদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে আমাদের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তার কারণে এবং আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপাতত এখান থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করে শহীদ মিনার ফিরে যাচ্ছি।
চিনময় মন্ডলকে গতকাল রাতে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ অযোগ্যদের সঙ্গে আমাদের কোন বোঝাপড়া নেই তারা নিজেদের আক্রোশ মেটাতে আমাদের উপর চড়া হয়েছে এটা একেবারেই কাঙ্খিত নয়। গতকালের ঘটনা তীব্র নিন্দা করছি। এসএসসির বেশ কিছু আইনি কাজ রয়েছে আমাদের মামলার বিষয়ে তাই সে কাজ যাতে বাধা প্রাপ্ত না হয় সেই কারণে আন্দোলন থেকে তোলার সিদ্ধান্ত’।
চিন্ময় মন্ডল আরও এক বিক্ষোভরত শিক্ষক তিনি জানান, ‘ যদি বলেন যে যোগ্য শিক্ষকরা হাতাহাতির ভয়ে চলে যাচ্ছে। তাহলে সেটা ঠিক আমরা চাই না অযোগ্য তোর সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ হোক লড়াই হোক। সেই কারণেই আমরা এখান থেকে চলে যাচ্ছি। যোগ্যদের যে তালিকা স্কুলে গেছে সেখানে প্রায় যোগ্য ৩০০ জনের নাম নেই। এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আমাদের আশঙ্কা। ওই তালিকা এসএসসি সংশোধন করবে বলে আমাদের মৌখিক জানানো হয়েছে। যোগ্য শিক্ষাকর্মীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত এবং তারা যাতে বেতন না পেলেও কিছু টাকা পান সেটা দেখুন। কারণ সুপ্রিম কোর্টে তাদের আবেদন গ্রাহ্যই হয়নি। এখন তারা সম্পূর্ণ চাকরিহারা।’
দেখুন অন্য খবর