কলকাতা: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার। সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বাগ কমিটির সুপারিশ মতো সিবিআই স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঁচ বড় কর্তার বিরুদ্ধে একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করেছে। শান্তিপ্রসাদ ছাড়াও সিবিআই এফআইআর করেছে কমিশনের প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, কমিশনের প্রাক্তন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এফআইআরে সিবিআই কার কার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ এনেছে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, শান্তিপ্রসাদ এসএসসির গ্রুপ-সি পদে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। মেধা তালিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর তিনি এসব কাজে লিপ্ত ছিলেন।
সৌমিত্র সরকার শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করেন। এরপর সেই শূন্য পদগুলি পূরণ হয় জাল সুপারিশ পত্রের ভিত্তিতে। এইসব পদে মোট ৩৮১ জন অকৃতকার্য প্রার্থীকে ওই সুপারিশ পত্রের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। ওই অকৃতকার্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হয় তথ্যের অধিকার আইনের ভিত্তিতে উত্তরপত্র আনিয়ে। অভিযোগ, ওই কর্তাদের নির্দেশেই অযোগ্য প্রার্থীরা আরটিআই করেছিলেন। পরে শান্তিপ্রসাদ সৌমিত্র সরকার এবং অশোক সাহার নির্দেশে নোটশিটে পর্যন্ত জালিয়াতি করা হয়েছিল। ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জন আবার পরীক্ষাতেই বসেননি।
আরও পড়ুন- SSC CBI: এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঁচ কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর সিবিআইয়ের
এফআইআরে সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, শান্তিপ্রসাদ ওই জাল সুপারিশপত্রগুলি পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময়ের হাতে তুলে দেন তালিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর। কল্যাণময় পর্ষদের টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েককে ওই জাল সুপারিশপত্রের ভিত্তিতেই নিয়োগপত্র তৈরির নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে পর্ষদের নিয়োগ বিভাগকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।