কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: গান্ধীর প্রয়াণ দিবসেও রাজনীতির বাগযুদ্ধ। প্রতিবছরের মতো এবারেও ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। সেখানে গিয়েও তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সমালোচনায় বিদ্ধ করেন তিনি। শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর এহেন মন্তব্যে পালটা নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই মনে করছেন গান্ধীজির (Mahatma Gandhi) প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করা তাঁর শোভা পায়নি, তিনি বিজেপির সুরে কথা বলছেন।
এদিন গান্ধীঘাটে মহাত্মা গান্ধীর শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাজ্যপাল বলেন, বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে। এটা বরদাস্ত করতে পারব না। বাংলার মাটিকে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না। বাংলায় আইন নেই। শাসকের আইন চলছে। এছাড়াও এদিন তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। আমাকে যতই অপমানিত করা হোক, আমি পশ্চিমবঙ্গের জনতার সেবা করব। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে।
রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত রোজই বাড়ছে। এমনকী রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনার পরিকল্পনাও করছে তৃণমূল (TMC)। যদিও রাজ্যপালের এই মন্তব্যকে নিয়ে তৃণমূল শিবির থেকে জোরাল প্রতিবাদ উঠেছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর প্রতিবাদে বলেন, রাজ্যপালের যদি গ্যাস চেম্বারে থাকতে অসুবিধা হয়, তাহলে তিনি ইচ্ছা করলে চলে যেতে পারেন। ওনার সঙ্গে আলোচনা কীভাবে হবে? উনি তো বাংলাই জানেন না। উনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিো নন। তাই মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে অর্থাৎ যারা ভোটে জিতে এসেছি প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। রাজ্যপাল কেন এভাবে নিজেই বিড়ম্বনায় পড়ছেন। একটি পদকে কলঙ্কিত করছেন। উনি বিজেপির তাবেদারি করছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কথা বলছেন। তিনি বাংলার সংস্কৃতি জানেন না।
আরও পড়ুন- Sampriti Flyover: সম্প্রীতি উড়ালপুলে বাইক দুর্ঘটনা, ব্রিজ থেকে নীচে ছিটকে পড়ে মৃত্যু যুবকের
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে রাজ্যপাল ধনখড় ফের বিজেপি মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে দেখালেন। এই দলই গান্ধীর হত্যাকারীকে পুজো করে। ফের একবার এমন একটি পবিত্র স্থানকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণের জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হল। অথচ রাজ্যপাল টিএমসি নেতাকে খুনের বিষয়ে একটি শব্দও প্রয়োগ করলেন না।