কলকাতা: রাজ্যসভায় তৃণমূল যে নতুন তিনজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল সেই তালিকায় রয়েছে চমক। সোমবার সকালে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেলে আগামী রাজ্যসভার (RajyaSabha) ভোটের ৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। বাকি ৫টি নাম তৃণমূলের পরিচিত মুখ হলেও, চমক রয়েছে সামিরুল এই নামে। সব থেকে চমকের বিষয় হল, পেশায় রসায়নের অধ্যাপক। বীরভূমের এই ভূমিপুত্র কোনও রাজনাতিক দলের সদস্য নয়। একেবারে বাংলার চাষির ঘরে ছেলে। বলা যেতে পারেই মাটির ছেলে। ২০২৩ এর সামিরুল ইসলামকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করে নিঃন্দেহে বড় চমক দিয়েছে।
বীরভূমের ছেলে সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam)। কলকাতার মনিন্দচন্দ্র থেকে রসায়ন নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। দিল্লির আইাইটি থেকে স্নাতকত্তর করেছেন। বর্তমানে গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের রসায়নের অধ্যাপক। আদপে তিনি চাষির ছেলের তাঁর যোগ রয়েছে মাটির সঙ্গে। একাধীক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাজার কাঁপিয়েছিল একটা স্লোগান। নো ভোট টু বিজেপি এই স্লোগানের স্রষ্টা সামিরুল। শুধু তাই নয় করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তিনি এগিয়ে এসেছেন। তাদের স্বার্থে একাধীক কাজও করেছেন। সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলন, কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন।
আরও পড়ুন: CV Ananda Bose| Amit Shah | সোমবার সন্ধ্যায় শাহের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের
কোনও রাজনৈতিক দলের রাজনীতির বৃত্তে ছিলেন না। স্বাধীন ভাবেই কাজ করতে ভালোবাসেন। নাম ঘোষণার প্রসঙ্গে তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, তৃণমূলের তরফে এই বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর সংগঠন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ সঙ্গে আলোচনার পরই তিনি নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন। রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত না থাকলেও রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থীহওয়ার প্রসঙ্গে সামিরুল জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় বলেছেন, বাংলার অধিকার সোচ্চারে হতে, অনগ্রসর মানুষের হক আদায়ের কথা বলতে হবে। আমি সেটাই করতে চাই। তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজগুলি দিয়েছে সেগুলো শেষ করতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিক এসআইএসটি ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। অনেক কিছু আছে জনজাতি বিরোধী। বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিজেপির কুড়মিদের ভুল বোঝাচ্ছে। সারি সারনা ধর্ম ক্যাবিনেটে পাস হয়েছে রাজ্যে, কিন্তু, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার। মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছি। খেটে খাওয়া মানুষ এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য লড়াই করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন পেয়েছি।