কলকাতা: অভব্য আচরণের জন্য দুই বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভার (assembly) চলতি অধিবেশনে বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হল বুধবার। এদিন বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর অধ্যক্ষ(Speaker)বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (biman banerjee) ওই দু’জনকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন।
পরিষদীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, গত সোমবার বিধানসভার বাজেট (WestBengalAssembly) অধিবেশনের সূচনার দিন ওই দুই বিধায়ক রাজ্যপালের ভাষণের বারবার ব্যাঘাত ঘটান। অসংসদীয় আচরণের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হোক বলে প্রস্তাব আনেন মন্ত্রী।
সোমবার বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উদ্বোধনী ভাষণকে ঘিরে ধুন্ধুমার ঘটে। বিধানসভা কক্ষে রাজ্যপাল ঢোকা মাত্রই বিজেপি সদস্যরা বিক্ষোভ (Agitation) শুরু করেন। সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে হিংসা ও রিগিংয়ের বিরুদ্ধে বিজেপি সদস্যরা ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন। পালটা বিক্ষোভ দেখান ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরাও। তাঁরাও নেমে আসেন ওয়েলে। দুপক্ষের মধ্যে রীতিমতো বচসা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। রাজ্যপালের আসন ঘিরে দুপক্ষের সদস্যরা দাঁড়িয়ে পড়েন।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ-পালটা বিক্ষোভের কারণে রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করতেই পারেননি। ওই পরিস্থিতিতে ভাষণ না দিয়েই বেশ কয়েকবার রাজ্যপাল বিধানসভা কক্ষ ছাড়ার উদ্যোগ নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে হাতজোড় করে রাজ্যপালকে বারবার ভাষণ শুরু করার অনুরোধ জানাতে দেখা যায়। পরে অবশ্য রাজ্যপাল ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইনটুকু পড়ে সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা করেন।
আরও পড়ুন- Utsashree Portal HC Case: মিথ্যে তথ্য, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ আদালতের
পরে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিরোধীরা নাটক করছেন। রাজ্যপালও টুইটে গোটা ঘটনার নিন্দা করেন। সোমবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের মহিলা মন্ত্রীরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছেন। তার আগেই বুধবার দুই বিজেপি বিধায়ককে বাজেট অধিবেশনের বাকি সময়টুকুর জন্য সাসপেন্ড করা হল।
বিজেপি অবশ্য এর প্রতিবাদ করেছে। তাদের পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের পাঁচ বিধায়ক রাজ্যপালকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন। তাঁদের শাস্তি না দিয়ে কেন শুধু বিজেপি বিধায়কদের শাস্তি দেওয়া হল, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল।