কলকাতা: মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়ক। মদন মানেই রঙিন মানুষ। কখনও তিনি ভাইরাল হয়েছেন ফেসবুক লাইভে এসে আবার কখনও গান গেয়ে। গত ৫ সেপ্টেম্বর মমতার হয়ে ভবানীপুরে প্রচারে আসেন মদন। সাদা ধুতি আর পাঞ্জাবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে চেনা মেজাজে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভবানীপুরের ভোট প্রচারের। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, ধুতি পরে বাঙালিবাবু হিসেবেই ভোট প্রচার করুক মদন। তবে কামারহাটির বিধায়ক একটু কালারফুল, বেশি সাজুগুজু করো না ভোটে প্রচারের ক্ষেত্রে মদনকে পরামর্শ মমতার।
গত ৫ তারিখ ভবানীপুর কেন্দ্রের ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের ডিএল খান রোডের শিব মন্দিরের কাছে একটি দেওয়াল লেখেন মদন মিত্র। তার পরেই চেনা মেজাজে গেয়ে ওঠেন ‘ও লাভলি’। সঙ্গে ছিল বাউল গানও। তাতেও সুর মেলান কামারহাটির বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়কের হাতে ছিল একতারাও। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। এবার সেই ভাবেই বাকিদিনগুলোতে ভোট প্রচার করতে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মদন মিত্র মানেই রঙিন মানুষ
৩০ নভেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই তোড়জোড় চলছে প্রচারের। ‘ভবানীপুর নিজের মেয়েকেই চায়’ ব্যানারে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা এলাকা। ‘খেলা হবে’ ব্যানারেও সেজে উঠেছে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরের আট ওয়ার্ডের ৬টাই তৃণমূলের, তবু অবাঙালি ভোটে ভরসা রেখে অর্জুনকে সারথি করছে বিজেপি
৫ নভেম্বর ভোট প্রচারে ধুতি পাঞ্জাবি পরে মদন
৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ ৭১ এবং ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ ৭৪, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে মমতার প্রচারের নেতৃত্বে রয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে নেত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার। এছাড়াও প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে তারকা নেত্রী সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, সাংসদ দেব, মিমি চক্রবর্তী, রাজ চক্রবর্তী এবং শতাব্দী রায়ও। এবার সেই বাঙালি বেশে মদনকে চাইলেন মমতা।
আরও পড়ুন: পুজোয় উস্কানি মূলক কাজের আশঙ্কা, উদ্যোক্তাদের সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর