কলকাতা: গরম পড়তে না পড়তেই পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে (Bengal District) জলসঙ্কটের (Water Crisis) ভয়াবহ ছবি আরও একবার সামনে এসেছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই জল না পাওয়ার হাহাকার শুরু হয়েছে। বারবার অভিযোগ উঠতেই রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসেছে। এবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জেলাশাসকদের স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন — শুধু কল বসালেই হবে না, ঘরে ঘরে জলও পৌঁছাতে হবে ঠিকভাবে।
শনিবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এক ডজনেরও বেশি দফতরের কাজ খতিয়ে দেখে মুখ্যসচিব জোর দিলেন ‘জল জীবন মিশন’-এর অগ্রগতিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টার্গেট, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ বাড়িতে নিরাপদ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু অনেক জায়গায় প্রকল্প পৌঁছলেও জল পৌঁছায়নি বলেই অভিযোগ। তাই গ্রীষ্মের শুরুতেই আর ঝুঁকি নিতে নারাজ নবান্ন। মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, এবার কোনও অভিযোগ যেন সামনে না আসে, তার জন্য এখন থেকেই কড়া নজর দিতে হবে জেলা প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় বন্ধ লঞ্চ পরিষেবা
জলের পাশাপাশি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উন্নয়নেও গতি আনতে তৎপর রাজ্য। জেলায় জেলায় দু’তলা শপিং মল গড়ে তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ন’টি মলের অনুমোদন ইতিমধ্যেই মিলেছে, যার মধ্যে দুটি হবে জলপাইগুড়িতে। বাকি জেলাগুলিতে দ্রুত ভূমি নির্বাচন এবং নির্মাণ সংস্থা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি মহিলাদের কর্মসংস্থানের দিকেও নজর দিচ্ছে সরকার।
বর্ষা আসার আগেই ডেঙ্গি-ম্যালারিয়া প্রতিরোধেও প্রস্তুতি নিতে বলেছে নবান্ন। স্বাস্থ্য, কৃষি ও সেচ দফতরের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, আগেভাগেই সমস্যা রুখতে হবে। প্রশাসনিক মহলের মতে, গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ার আগেই জল এবং স্বাস্থ্য সংকট সামাল দিতে এই উদ্যোগই রাজ্যের আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: