কলকাতা: জলের মিটার (Water Meter) বসবে কলকাতা জুড়ে। জানালেন কলকাতার মেয়র তথা পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি বলেন, জল নষ্ট হচ্ছে বলে আমরা সব জায়গায় জল দিতে পারছি না। এটা পর্যবেক্ষণের জন্য করা হচ্ছে। এর ফলে আমরা আরও বেশি জল দিতে পারব। দেড়শো লিটার প্রতি মানুষকে জল দেওয়া হবে। প্রতিদিন এটা চাহিদা। প্রচুর জল নষ্ট হয় বিভিন্নভাবে। মনিটরিং করার জন্যই এটা করা হবে। পাটুলি ও কাশীপুরে ইতিমধ্যেই হয়েছে। উল্লেখ্যে, জলের মিটার বসানো নিয়ে একসময় সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন বিতর্ক বাঁধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কার্যত বিরোধ বেঁধিছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। পরে পিছু হটতে হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।
এদিকে দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসা প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। এটা কাম্য নয়। তাঁরা সরকারি আধিকারিক। তাঁদের নিরপেক্ষভাবে আসা উচিত। আমরা যা রিপোর্ট পেয়েছি তাতে দেখছি উত্তরপ্রদেশে অনেক বেশি দুর্নীতি হয়েছে জব কার্ড নিয়ে। সেখানে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল? কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত রাজ্যকে সমানভাবে দেখা উচিত। যেখানে দুর্নীতি হয়েছে সেইটুকু এলাকায় টাকা দেওয়া বন্ধ করা উচিত। সবার বন্ধ করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগে আগুন
ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, পার্কিং নিয়ে অ্যাপ আজ থেকে চালু হচ্ছে। অবৈধ পার্কিং করলেই সেই নম্বর এই অ্যাপের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের কাছে চলে যাবে। কলকাতা পুলিশ প্রসিডিং স্টার্ট করবে। এর সঙ্গে পরিবহণ ও কলকাতা পুলিশ এর যোগ থাকবে।
হকারদের বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, বর্ষায় অনেকে প্লাস্টিক লাগিয়েছিল। সেই প্লাস্টিক এখনও খোলেনি। এটাকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখব। পুলিশের সাহায্য নিয়ে প্লাস্টিকগুলোকে খুলতে হবে। গড়িয়াহাট সহ বেশ কিছু জায়গায় পুরসভা হকার তুলে দেওয়ার পরও আবার নতুন করে বসছে। এক্ষেত্রে পুলিশকে দেখতে হবে। কমিশনারকে চিঠি দিতে নির্দেশ মেয়রের।
অন্যদিকে তিনি জানান, বউবাজারে বাড়ি তৈরি করতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু যে ভুক্তভোগী তাঁদের নিয়ে অনেকবার আলোচনা হয়েছে তাঁরা রাজি থাকলে পুরসভার কোনও বাধা নেই।
আরও খবর দেখুন