কলকাতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলে টুইটে সোচ্চার হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে নিশানা করে রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, ‘আইনের শাসন নেই৷ শাসকের শাসন চলছে৷ আচার্যের অনুমিত ছাড়া আগে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ ২৪ থেকে বেড়ে এখন ২৫ হল৷’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ফের সোনালি চক্রবর্তীকে চার বছরের জন্য নিয়োগ করেছে রাজ্য৷ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল৷ টুইটে লেখেন, ২৮ অগস্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করে সোনালি চক্রবর্তীকে দ্বিতীয়বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়৷ যা স্বজনপোষণের নজির৷ ১৬ সেপ্টেম্বর সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন আচার্য৷ ব্রাত্য বসুর কাছ থেকে কোনও জবাব পাইনি৷’
Education Environ-“Law of ruler, not rule of law” @MamataOfficial
VCs of 24 (now 25) Universities appointed illegally without Chancellor approval.
Calcutta Univ VC Sonali Chakravarty gets second full four year term without any selection. No CM response to Aug 17 communication. pic.twitter.com/E6DZLgVhFz
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 15, 2022
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত লেগেই রয়েছে৷ গত বছর ডিসেম্বরের শেষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ জানিয়েছিলেন, অনুমোদন ছাড়া উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে৷ এই নিয়োগের কোনও আইনি বৈধতা নেই৷ কেন একথা বলেছিলেন রাজ্যপাল? পদাধিকার বলে রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য৷ তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন৷ তাঁর অভিযোগ, আচার্যের অনুমোদন ছাড়া ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বেছে নেওয়া হয়েছে৷
জবাব দিতে দেরি করেননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ রাজ্যপালের নাম না করে সুকুমার রায়ের কবিতা উল্লেখ করে তাঁকে ‘পাগলা জগাই’ বলে টুইটে খোঁচা মেরেছিলেন৷ উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্যপালের প্রতিনিধিদের নিয়ে সার্চ কমিটি তৈরি হয়৷ সেই সার্চ কমিটি উপাচার্যের নাম ঠিক করে৷ কিন্তু রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিনিধি পাঠালেও রাজ্যপাল প্রতিনিধি পাঠাননি৷ তাই রাজ্য নিয়োগ করেছে৷