ওয়েব ডেস্ক: গড়িয়াহাটে (Gariahat) এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। তাঁর নাম নীল সেন। বয়স ১৯ বছর। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে নিজ বাড়ি থেকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে (Post Mortem) পাঠিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।
সূত্রের খবর, নীল গড়িয়াহাটের একডালিয়া প্লেস এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। অন্যদিকে, সে একটি কলেজে স্নাতকস্তরে বিজ্ঞান বিভাগে (Science Department) পড়াশোনা করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে নীলের শোয়ার ঘরের দরজায় অনেক ডাকাডাকির পরেও না খোলায়, সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখতে পান, নীল সিলিং ফ্যানে ঝুলছেন। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় কি কি ব্যবস্থা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
ঘটনার পর পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার আশঙ্কাই প্রকাশ পেয়েছে। তবে এর পিছনে সুনির্দিষ্ট কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ (Gariahat Police)। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নীল গত কয়েক বছর ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ঘটনার দিন দুপুর থেকে তিনি একাই ঘরে ছিলেন এবং কিছু খাননি বলেই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও ঘর থেকে বের না হওয়ায় উদ্বেগ ছড়ায় পরিবারে। সেসময় দরজা ভাঙতেই নীলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।
উল্লেখ্য, নীলের বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ছেলের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদের কারণেই হয়তো এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীল। তবে তদন্তকারীরা বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোনও দিক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন।
দেখুন অন্য খবর