কলকাতা: বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সোমবার ছাত্রছাত্রীদের জোর করে মেয়ো রোডের সভায় নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে। উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কলেজ থেকে পড়ুয়াদের রীতিমতো হুমকি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের বলা হয়েছে, মেয়ো রোডে সভায় না গেলে ভবিষ্যতে কলেজে টিকে থাকতে পারবেন না।
এদিন উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের কয়েকজন ছাত্রীকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁরা টোটোয়ে উঠে বাড়ি ফিরতে চাইলে টিএমসিপির নেতা-নেত্রীরা জোর করতে থাকেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূলের ছাত্র নেতারা। ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্রনেতা নীলাদ্রি পাল দাবি করেন, কাউকে জোর করা হয়নি। কলেজ থেকে দু’হাজার ছাত্র-ছাত্রী আজকের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী নির্দেশ দেন সেই দিকেই তাকিয়ে আমরা। ছাত্রীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্ররা ট্রেনে গিয়েছেন।বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন,জমিদারি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই জোর করে তৃণমূল ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশে নিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে সাসপেন্ড দত্তপুকুরের আইসি ও নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি
সোমবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয় ২৬তম তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে ওই সভা থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্টা দিবসে ওই আশঙ্কা করে মমতা বলেন, এরকম প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে আগে কোনও সরকারকে দেখিনি। আমরা ফোনে অভিষেককে নিয়ে হুমকি দেওয়া মেসেজ পাঠানো হয়েছে। আমাকে একজন ফোনে মেসেজে জানিয়েছে, অভিষেককে নাকি ভোটের আগে গ্রেফতার করা হবে। এরপরই মমতা বলেন, যে যা খুশি করুক, আমরা মাথা নত করব না। তার আগে অভিষেকও বলেন, আমাদের মেরুদণ্ড বাঁকানো যাবে না। কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার নয়। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রমাণ দিন। এক ঘণ্টার মধ্যে হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে উঠব।