কলকাতা: শহরের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে বাবা, মা, ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Body Found Hanging in a Flat Garia station area)। গড়িয়া স্টেশন এলাকার একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে তিন জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের বাড়ির বাইরে দেখা যাচ্ছিল না। তাতে সন্দেহ বাড়ে বাসিন্দাদের। তার উপর বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তিনটে আলাদা আলাদা ঘর থেকে বাবা-মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন গোটা পরিবার। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Unnatural Death) ঘটনার তদন্তে নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
গত ২৮ ডিসেম্বর শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁদের। বার বার ফোন করেও ওই পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বৃদ্ধার ভাই বুধবার সকালে গড়িয়ার ফ্ল্যাটে আসেন। বন্ধ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে গড়িয়া স্টেশন এলাকায় বিষয়টিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছে বলে সূত্রের খবর। নিহতরা হলেন, অপর্ণা মৈত্র (৬৮), তাঁর স্বামী স্বপন মৈত্র (৭৫) এবং তাঁদের ছেলে সুমনরাজ। স্বপনবাবু পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। প্রতিবেশীরা জানান, প্রবীণ ওই দম্পতি কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না। ছেলে স্বপন সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। আত্মহত্যার বলে মনে করলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাট থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওা যায়নি। এর মধ্যেই এই ফেসবুক লাইভ আত্মহত্যার জল্পনাকে বাড়ছে।
ফেসবুক লাইভে কিছুটা সুমনকে বলতে শোনা যায়, ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সাহায্য নেওয়ার কোনো জায়গা নেই। কিন্তু কে বা কারা দিচ্ছে সেটা স্পট করেননি ফেসবুক লাইভে। লাইভে আরও বলতে শোনা যাচ্ছে, ফ্যমিলির সঙ্গে ইউটিউবে কিছু দেখছিলাম। একটা কমেন্ট নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম। এখন যদি সেটা নিয়ে কেউ রেগে গেল তা হলে আমার কী করা উচিত? আমাকে দেখতে পেলেই ওরা মেরে দেবে বলছে! তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তার মামাকে জানিয়েছে। কিছু লোকজন তাকে পাগল পাগল বলছে। এমনকি বলতে শোনা গিয়েছে, আজই আমাকে একটা ডিসিশনে আসতে হবে। হয়তো আমি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলেছি। সিদ্ধান্তই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কি না তা ফেসবুক লাইভে স্পষ্ট জানাননি সুমন।
আরও অন্য খবর দেখুন