কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections) রণকৌশল কী হবে, তা ঠিক করতে আগামিকাল তৃণমূলের (Trinomool Congress, ) বিশেষ অধিবেশন বসছে। কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বৃহস্পতিবার কী বার্তা দেন, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। ওই সভায় ভাষণ দেওয়ার কথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
দলের একেবার নিচুতলার নেতা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, জেলা পরিষদ সদস্য থেকে শুরু করে বিধায়ক, সাংসদ, রাজ্য নেতাদের ওই অধিবেশনে থাকতে বলা হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা চিঠি পাঠানো হয়েছে সকলের কাছে। দলীয় সূত্রের খবর, প্রায় ১৫ হাজার লোক হবে কালকের ওই বিশেষ অধিবেশনে।
আরও পড়ুন: ২২ বিল আটকে রাজ্যপালের কাছে, পাল্টা দাবি স্পিকারের
তৃণমূলের অন্দরের খবর, একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া রাখাকেই এবারের ভোটে পাখির চোখ করে প্রচারে নামতে চায় শাসকদল। পাশাপাশি সড়ক যোজনা এবং আবাস যোজনার বকেয়ার দাবিও রয়েছে। এগুলি গ্রাম থেকে শহরেও সমান গুরুত্বের। এই দাবিকে সামনে রেখে অনেক দিন ধরেই তৃণমূল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব। তারা এই ইস্যুতে দিল্লির বুকেও ধরনা দিয়েছে। দিল্লি থেকে ফিরে শাসকদল রাজভবনের সামনেও অবস্থান আন্দোলন করেছে। সেই মঞ্চ থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেখা হবে। তার মধ্যে বকেয়া টাকা না পেলে ১ নভেম্বর থেকে তীব্র আন্দোলন হবে। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। নেত্রী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, ১৬ তারিখে ইনডোর স্টেডিয়ামে সভা করে আমি কর্মসূচি ঠিক করে দেব। ওই সময়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলা হবে বলে সমাবেশের দিন পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর করা হয়।
সব মিলিয়ে সেই সমাবেশ কিংবা বিশেষ অধিবেশনের দিকেই তাকিয়ে আছে দলের সকলে। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের। এমনিতেই নিয়োগ থেকে শুরু করে কয়লা, রেশন দুর্নীতির তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়ছে। শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী, নেতা জেল খাটছেন। তা নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব অস্বস্তিতে রয়েছেন। যদিও তাঁরা দাবি করছেন, ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা ভোটে সেটিকেও প্রচারের ইস্যু করতে চায় তৃণমূল।
আরও অন্য খবর দেখুন