কলকাতা: উত্তর কলকাতার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Bandyopadhyay)। পাশপাশি ন জন বিধায়ককে কোর কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত জেলার সভাপতি চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হলেও উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান এবং সভাপতি নাম ঘোষণা করা হল না। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল না হলেও, বেশ কয়েকটি জায়গাতে কয়েকটি পরিবর্তন হয়েছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠন ঢেলে সাজাতে চাইছে তৃণমূল। শুক্রবার সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের পরিবর্তনের তালিকা এসেছে। রাজনৈতুক মহলের মতে উত্তর কলকাতায় বীরভূম মডেলই তৈরি করা হল।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election) । তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে বড়সড় পরিবর্তন। অনেকেই মনে করেছিলেন আগামী ২১ জুলাই থেকে বিধানসভা ভোটের রণডঙ্কা বাজিয়ে দেবে তৃণমূল। তার আগে শুক্রবার রাজ্যের শাসকদলের সংগঠনে পরিবর্তন দেখা গেল। বীরভূমে (Birbhum) জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানে তুলেই দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতির পদ। উত্তর কলকাতার সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুটি ক্ষেত্রেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোর কমিটিকে। উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি – সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা চেয়ারম্যান – কোর কমিটি। দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি – মনীশ গুপ্ত, জেলা চেয়ারম্যান – দেবাশিস কুমার।
আরও পড়ুন: ২৬-এর ভোটের আগে তৃণমূলের সংগঠনে বিরাট রদবদল, বাদ পড়লেন কারা? নতুন মুখ কারা?
তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর,তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসে অন্যতম মুখ তিনি। সভাপতি পদ থেকে তিনি অপসারিত হলেন। তাঁর বদলে ৯ জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটির সদস্য অতীন ঘোষ, জীবন সাহা, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ পাল, শশী পাঁজা, সুপ্তি পাণ্ডে, স্বর্ণকমল সাহা, তপন সমাদ্দার ও বিবেক গুপ্ত। অর্থাৎ স্থানীয় বিধায়ক, কাউন্সিলরদের নিয়ে একটা কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি বিশেষ নয়, কমিটির ওপরেই থাকবে সংগঠনের দায়িত্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কলকাতাতেও কোনও ব্যক্তিবিশেষ নয়, কমিটির ওপরেই ভরসা রাখল তৃণমূল।
অন্য খবর দেখুন