কলকাতা: গরমে হাঁসফাঁস রাজ্যবাসীর। আগামী তিন-চারদিন মৌসুমী বায়ুর অনুকূল পরিস্থিতি নেই দক্ষিণবঙ্গে। ১৫ জুনের আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই অনুমান সত্যি হলে দক্ষিণবঙ্গে এবার লেট মনসুনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু এখন না প্রবেশ করলেও আগামী কয়েকদিন বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
পাশাপাশি কলকাতার চিত্রটাও অনেকটাই একরকম। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম রয়েছে। তবে আজও কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বেলা বাড়লে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি আরও বাড়বে। এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৮.২ মিলিমিটার।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা হাওয়া অফিসের। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া অফিসের। আগামী মঙ্গল, বুধবার থেকে বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। সিকিম ও উত্তরবঙ্গের বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ১৫ জুন থেকে।
most parts of Bay of Bengal, entire Sub-Himalayan West Bengal & Sikkim, some parts of Odisha, Gangetic West Bengal, Jharkhand and Bihar during subsequent 2-3 days.
— India Meteorological Department (@Indiametdept) June 11, 2022
আরও পড়ুন: Rajya Sabha Election: রাজস্থানে রাজ্যসভায় ৩টি আসনে জয়ী কংগ্রেস, বিজেপির ঝুলিতে ১টি
পশ্চিমের জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমান ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া-সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক দিন পরপর ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। হাওয়া অপিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে একই তাপমাত্রা থাকবে। বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
