কলকাতা : দশমী শেষে উমাকে বিদায় দেওয়ার পালা বাঙালির৷ কলকাতার প্রতিটি ঘাটে ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের হিড়িক পড়েছে৷ তবে এবার পরিবেশ বাঁচিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের নতুন নজির গড়ল কলকাতা পুরসভা৷ হেস্টিংসে গঙ্গা তীরবর্তী দইঘাটে দেখা গেল সেই ছবি৷ প্রতিমার রং যেন গঙ্গার জলে না মেশে তার জন্য নদীর পাড়ে আলাদা করে গড়ে তোলা হয়েছে লোহার কাঠামো৷ হোস পাইপের মাধ্যমে গঙ্গার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হচ্ছে একাধিক প্রতিমা৷ সেই দূষিত জলকে শোধন করে আবার ফেলা হবে গঙ্গায়৷
আরও পড়ুন : পুজোয় মেট্রো চড়লেন সাড়ে ১২ লক্ষ যাত্রী
ফিরহাদ হাকিম নিজেই রঙ তুলছেন প্রতিমার
গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে অনেক দিন ধরেই সরব হয়েছেন পরিবেশবিদরা৷ প্রতিমার রঙে অনেক সময়ই থাকে সীসা, নিকেল, ক্রোমিয়ামের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক৷ তার জেরে বিসর্জনের পরে জলদূষণ বেড়ে যায়৷
বিসর্জন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটগুলি ঘুরে দেখেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম ও প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য দেবাশিষ কুমার৷ হোস পাইপ হাতে নিয়ে প্রতিমা থেকে রঙ তুলতে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি জানিয়েছেন, “প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় গঙ্গার জলে রং ও সিসা যাচ্ছে৷ দূষণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা৷ এবছর আমরা নতুন প্রয়াস নিয়েছি৷ মানুষ রাজি থাকলে আগামী বছর থেকে সব ঘাটে করব৷”
আরও পড়ুন : জোড়া নিম্নচাপের প্রভাবে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি, জানাল হাওয়া অফিস
দইঘাটে প্রতিমার স্নান
তবে এবছর দইঘাটে এই পদ্ধতিতে বিসর্জনকে বাধ্যতামূলক করছে না কলকাতা পুরসভা৷ দইঘাট, জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট ও নিমঘাটে চলছে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া৷ গত বছরের মতোই করোনা বিধি মেনেই হচ্ছে বিসর্জন৷ জলে প্রতিমা পড়ার পর ক্রেন দিয়ে সেই কাঠামো টেনে তোলা হচ্ছে৷ দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন৷ মাইকিং-এর মাধ্যমে বারবার সতর্কবার্তা দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা৷ তৈরি রয়েছে ডিএমজির বিশেষ রেসকিউ টিম৷ ফুল,মালা ও পুজোর অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গা থেকে তোলার জন্য কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত কর্মী৷ নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কড়া ব্যবস্থা রয়েছে ঘাটগুলিতে৷