কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার যে কোনও সদস্যের জামার কলার ধরার ক্ষমতা রাখেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি তিনি। সম্প্রতি দুটি কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য করা হয়েছে ওই ছাত্রনেতাকে। সম্প্রতি টিএমসিপির কোনও এক সভায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, জুটার যে কোনও শিক্ষকের কলার ধরার ক্ষমতা রাখি আমি। সঞ্জীব প্রামাণিক ছাড়া আর কারও সেই সাহস নেই। আমার অওকাত এখানে উপস্থিত অনেকেরই জানা নেই।
সঞ্জীবের এই বক্তব্যের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও তার সত্যতা কলকাতা টিভি ডিজিটাল যাচাই করেনি। তবে ওই কথা যে তিনি বলেছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সঞ্জীব। তিনি বলেন, এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে রয়েছে। কেন এটা হবে। তাঁর দাবি, আগামী দিনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এখানে ছাত্র সংসদ গঠন করবে। তিনি জানান, কোনও অভ্যন্তরীণ বৈঠকে হয়ত এসব কথা বলা হয়েছিল। এটা তো বাইরে যাওয়ার কথা নয়।
কিছুদিন আগেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক প্রাক্তন নেতাকে হুমকি দিতে দেখা গিয়েছিল উপাচার্যকে। সঙ্গে ছিল অশ্রাব্য গালিগালাজ। সেই ভিডিয়োটিও ভাইরাল হয়। তার সত্যতাও যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
আরও পড়ুন : Weather Forescast: দক্ষিণ জ্বলছে, উত্তরবঙ্গে তুমুল কালবৈশাখীর পূর্বাভাস
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় সদস্যদের উদ্দেশে লেখা এক আবেদনে বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে, যা ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে কলুষিত করছে। সম্প্রতি একটি অডিয়োতে এক তৃণমূল ছাত্রনেতাকে শিক্ষকদের, বিশেষত জুটার সদস্যদের কলার ধরার কথা বলতে শোনা গিয়েছে। জুটার দাবি, এর পিছনে বড় ধরনের চক্রান্ত আছে। জুটার সদস্যদের নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে। ইদানীং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপচার্য কিংবা শিক্ষকদের হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে। যাদবপুরেও কি এই সংস্কৃতির আমদানি হল, প্রশ্ন জুটার।
ওই আবেদন আরও জানানো হয়েছে, সম্প্রতি উপাচার্যকে ডেপুটেশন দিয়ে ফেরার পথে জুটার সদস্যদের কিছু শিক্ষাকর্মী অপমান করেন। যাদবপুরের ছাত্র ও শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ করেন। সেই প্রতিবাদ স্তব্ধ করার জন্যই এসব চলছে বলে জুটার অভিমত।
আরও পড়ুন : Coal-Cattle Smuggling Scam: বিকাশ মিশ্রের চারদিন জেল হেফাজতের নির্দেশ বিশেষ সিবিআই আদালতের
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জিৎ ভট্টাচার্য জানান, ওই অডিয়োটির সত্যতা যাচাই করতে হবে। যদি এরকম কিছু বলা হয়, তাহলে তা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে।