কলকাতা ও নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল কংগ্রেস৷ যে ভাবে সংসদে কোনও আলোচনা না করে কেন্দ্র এক তরফা ভাবে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তা নিয়েই ক্ষুব্ধ তারা৷ আজ, মঙ্গলবার এ বিষয়ে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, এ ভাবে বেসরকারিকরণ করা হলে বহু সাধারণ মানুষ কাজ হারাবেন৷ মানুষের দরিদ্রতা বৃদ্ধি পাবে৷
তৃণমূলের রাজসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় অভিযোগ করেন, “২৫ থেকে ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে৷ এটা এক তরফা ঘোষণা৷” পাশাপাশি তাঁর দাবি, প্রাকৃতিক সম্পদ এ ভাবে কোনও সংস্থাকে দেওয়া যায় না৷ এ ভাবে চললে মানুষের জীবন নষ্ট হবে৷ ন্যাশানাল মানিটাইজ়েশন নিয়ে সংসদে কোনও আলোচনা হয়নি বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ৷
আর্থিক সংকট মোচনের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগের কথা বলে অর্থমন্ত্রকের৷ সরকারের তরফে বলা হয়, বেসরকারি বিনিয়োগ টেনে পরিকাঠামোর সংস্কার এবং বিকল্প আয়ের রাস্তা তৈরি করার জন্য পাওয়ার গ্রিড পাইপলাইন বা জাতীয় সড়কের মতো বিষয়গুলিতে এ বার বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে কেন্দ্র। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: তপ্ত মহারাষ্ট্র, গ্রেফতারের মুখে রাণে?
এই তালিকায় রয়েছে দার্জিলিঙের ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন। ন্যাশানাল মানিটাইজেশন প্রকল্পের আওতায় রেল, জাতীয় সড়ক, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহণ, তেল ও গ্যাসের পাইপ লাইন থেকে শুরু করে ২৫টি বিমানবন্দর, কলকাতা-হলদিয়ার মতো জাহাজ বন্দরের পরিকাঠামো পর্যন্ত ব্যবসায়িক ভাবে ব্যবহারের জন্য তুলে দেওয়া হবে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হাতে। এই তালিকায় রয়েছে এমনকি খেলার স্টেডিয়ামও। তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই এই সব সরকারি সম্পদ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেসরকারি সংস্থাকে শুধু ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে। মালিকানা থাকবে সরকারের হাতেই। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, আদতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রির রাস্তাই ধাপে ধাপে খুলে দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার পরই তীব্র প্রতিবাদে সরব তৃণমূল৷ বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হবেন বলেও জানিয়েছেন সুখেন্দুশেখর৷
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ক্যাডার করতে চাইছে তৃণমূল, WBCS প্রশ্ন বিতর্কে মন্তব্য দিলীপের