কলকাতা: বাংলার রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাজ্যসভায়( স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনল তৃণমূল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় শুক্রবার রাজ্যসভার(Removal Of Jagdeep Dhankhar) সচিবালয়ে ওই প্রস্তাব আলোচনার জন্য জমা দেন। তাতে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগ, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজকর্মে অযথা হস্তক্ষেপ করছেন। রাজ্য সরকারের সাংবিধানিক কর্তৃত্বকেও নিয়মিত চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। কখনও বিবৃতি দিয়ে, কখনও টুইট করে, আবার কখনও বা ইলেক্ট্রনিক কিংবা সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যপাল সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
২০১৯ সালে ধনখড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত শুরু হয়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, নীতি, কাজকর্ম নিয়ে সমানে প্রশ্ন তুলতে থাকেন রাজ্যপাল। কখনও বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে, কখনও রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ধনখড় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। তাঁর আক্রমণের নিশানা থেকে বাদ যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নবান্ন-রাজভবন সংঘাত তুঙ্গে ওঠে ২৫ জানুয়ারি বিধানসভা চত্বরে রাজ্যপালের বক্তব্যকে ঘিরে। অধ্যক্ষের সামনেই রাজ্যপাল চড়া সুরে ওইদিন আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী, অধ্যক্ষ কাউকেই ছাড়েননি তিনি।
আরও পড়ুন: WB Civic Polls: বিধাননগরে সিপিএম নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
এরপরই দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সংসদে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে দলীয় সাংসদদের লাগাতার সরব হতে পরামর্শ দেন। সংসদে প্রস্তাব আনারও নির্দেশ দেন নেত্রী। সেইমতোই এদিন রাজ্যসভায় প্রস্তাব আনলেন সুখেন্দুশেখর। আগামিদিনে রাজ্য বিধানসভাতেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আসতে চলেছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
এর আগে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ছটি চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কোনও চিঠিরও তিনি জবাব পাননি আজ পর্যন্ত। সদ্য সংসদের অধিবেশন শুরুর দিনেই রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে আচমকাই সেন্ট্রাল হলে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রামনাথ কোবিন্দের কাছে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে বসেন। দিন চারেক পর সংসদে প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও একই দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে। মোদি অবশ্য বিষয়টি হালকাভাবেই নেন।