কলকাতা: সময়মতো উপনির্বাচনের দাবিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধিদল৷ বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদরা জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে৷ ছ’মাসে ভোট করাতে কমিশনও সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে৷
আরও পড়ুন: হাথরস-উন্নাওয়ে ক’টা কমিশন? বাংলার ‘হিংসা’ নিয়ে চলছে চক্রান্ত: মমতা
রাজ্যে এখন খালি আসন ৭টি৷ ওই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়ার কথা৷ এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে ২ মে৷ নিয়ম অনুযায়ী, নভেম্বরের মধ্যে ভোটপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে৷ এর মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রটি৷ যে আসন থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়বেন বলে সূত্রের খবর৷ এছাড়া খড়দহ, সামসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, দিনহাটা, শান্তিপুর ও গোসাবা আসন খালি পড়ে৷ ইতিমধ্যে দু’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু উপনির্বাচনের ব্যাপারে কমিশনকে এখনও সদর্থক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি৷ তাই দ্রুত উপনির্বাচনের দাবি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের বাংলায় হিংসা, ভিটেছাড়া মানুষ, সিবিআই তদন্ত চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
তবে কমিশনারের সঙ্গে আলোচনার পর নিরাশ নন তৃণমূল সাংসদরা৷ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হোক৷ এটাই রাজ্যের মানুষের প্রত্যাশা৷ এপ্রিল মাসে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হার ছিল ৩৩ শতাংশ৷ সেটা বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশের নীচে৷ তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন প্রচারের জন্য অল্প সময় দেওয়া হলেও আপত্তি নেই৷’ তাহলে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এত সময় নিচ্ছে কেন কমিশন? সুদীপবাবু বলেন, ‘কমিশন জেলা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করছে৷ তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানিয়েছে৷’ তাহলে কি সময়মতো নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে? জবাবে, তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিরাশ নই৷ কমিশন সদর্থক ভূমিকা পালন করছে৷ কমিশন জানিয়েছে তারা সাংবিধানিক সঙ্কট চায় না৷’ এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কাকলী ঘোষদস্তিদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, সৌগত রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন৷