ওয়েবডেস্ক- ফের খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) । আর নিরাপত্তা (Tight Security) বাড়ানো হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি থাকছে প্রাক্তন সেনা (Ex Army)। কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) নির্দেশে ৩২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ টি গেট সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার প্রাক্তন সেনার ওই দল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেন।
তারা কথা বলেন কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্যদের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই তাদের থাকার জন্য জায়গা দেবে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ বলে জানা গেছে। পাশাপাশি শীঘ্রই ৭০টি সিসিটিভি ক্যামেরা সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসবে বলেও জানা গেছে।

উল্লেখ্য, একাধিক কাণ্ড ঘিরে উত্তাল হয়েছে বিশ্ব বিদ্যালয়। নদিয়ার ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে মাওবাদী নেতা নামবালা কেশর রাও ওরফে বাসবরাজুর নামে দেওয়ান লিখে দেখা যায়। যা ঘিরে উত্তপ্ত হয় চত্বর। শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ২০২৩ সালের ঘটনা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। নদিয়া থেকে পড়তে আসা এক যুবক যাদবপুরে পড়তে এসে র্যাগিংয়ে শিকার হয়। তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এই ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন- OMR প্রকাশের আবেদনে হাইকোর্টে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজীব হাঁসদা
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রাক্তনের এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগ ওঠে। তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যু ঘিরে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। ২০২৪ এর ঘটনা। পুকুরে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় গাফিলতির প্রশ্ন ওঠে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নেশা করার অভিযোগ, বহিরাগতদের হস্টেলের ঘর জুড়ে দিনের পর দিন থেকে যাওয়া সহ প্রাক্তনদের র্যাগিংয়ের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তার দাবিতে সিসি ক্যামেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে বসানোর জন্য চাপানউতোর ঘিরেও সংবাদের হেডলাইনে থাকে যাদবপুরের নাম।
দেখুন আরও খবর-