সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে পোস্তার উড়ালপুল ভাঙার কাজ। প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ উড়ালপথের ভাঙা অংশ প্রথমে সরিয়ে ফেলা হবে। পোস্তা ক্রসিং থেকে নবাব লেন পর্যন্ত অংশ ভাঙার কাজ প্রথম শুরু হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ নির্মীয়মাণ পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে মারা যান ২৭ জন।স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করছে পুর ও নগরান্নয়ন দফতর।যার দ্বারা সরাসরি বিপর্যস্ত সেতু ভাঙার কাজের সিসি টিভি ফুটেজ নবান্ন বা সল্টলেকের কেএমডিএ দফতরে পৌঁছে যায় এবং একই সঙ্গে নজরদারিও করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুনশুরু হতে চলেছে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার কাজ
শনিবার উড়ালপুল পরিদর্শন করতে আসেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য ও শীর্ষ ইঞ্জিনিয়াররা। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী জানান, ‘সবার আগে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা। তাই উড়ালপুল ভাঙার শুরুর আগে সমস্ত সুরক্ষা বিধি মজবুত করে নিচ্ছে কেএমডিএ।এই কারণেই সেতুর চারপাশের অংশ সিসিটিভিতে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ওই সিসিটিভির ফুটেজ আমাদের সবার মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে।’ মোট চারটি ধাপে সেতুটি ভাঙা হবে। প্রথম ধাপে অভিশপ্ত সেতুর ১৮২ মিটার অংশ ভাঙতে ৪৫ দিন সময় ধার্য হয়েছে। পুরো সেতুটি ভাঙা এবং তার ভগ্নস্তূপ অপসারণে কেএমডিএ’র মোট খরচ পড়বে ১৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুনWTC : এ কোন কোহলি !
টানা চারদিন ধরে ভারী বৃষ্টির মধ্যেও বিপর্যস্ত সেতুটি ভাঙার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা। ইতিমধ্যে সেতুর নিচে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি ট্র্যাফিক রুট পরিবর্তন করে ক্রেন ও ভারী মেশিন বসানো হয়েছে। একইসঙ্গে শব্দ যাতে কম হয় তাই কিছু কিছু জায়গায় লেজার দিয়ে ‘টি’ আকৃতির ইস্পাতের বিম কাটারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনদ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি, ভরসা যোগাচ্ছেন বিরাট ও রাহানে