কলকাতা: বাড়ির লোকের কাছে মার খেয়ে হাওড়ার কদমতলার বাড়ি ছেড়ে কলকাতার ধর্মতলায় এসে ভরঘুরের জীবনযাপন শুরু করেছিলেন নন্দ। এবার ধর্মতলার ফুটপাতেই কেটে গিয়েছে তাঁর ১০-১২ বছর। বিভিন্ন দামী হোটেলের সামনের ফুটপাত, বা কোনও মেট্রোর সামনেই রাতের পর রাত কাটিয়ে চলে গিয়েছ ১০-১২ বছর।। কখনও রাজভবনের কোয়াটারের ছাদের তলার রাস্তাতেই কেটেছে কত শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা।
এবার রাজভবনের দরজা শারোদৎসবের নবমীর বিকেলে নন্দর জন্য খুলে গেল। সোমবার বিকেলে রাজভবন থেকে বেরিয়ে চিকিৎসকদের কোয়াটার্সে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের স্থায়ী চিকিৎসকদের শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাতেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই দেখা হল নন্দর সঙ্গে।
পরনে ছেঁড়া জামা ও হাফ প্যান্ট। তাঁকে দেখে রাজ্যপাল জানতে চান, এই ব্যক্তি কেন এখানে শুয়ে রয়েছেন? তাঁর সঙ্গে কথা বলে যাবতীয় তথ্য জানতে চান তিনি। প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দোভাষী মারফৎ কথা চালিয়ে রাজ্যপাল জানতে পারেন, ওই ভবঘুরের নাম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ডাক নাম নন্দ। হাওড়ার কদমতলার বাসিন্দা। পরিবারে ঝামেলার কারণে গত ১০-১২ বছর ধরে ঘরছাড়া। এই ধর্মতলা চত্বরই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। কখনও খাওয়া জোটে, কখনও খাওয়া জোটে না। তাই দিনে এক বার খেতে পেলেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন তিনি। রাস্তায় থাকতে থাকতে একটু খামখেয়ালি গোছের মানুষ হয়ে গিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলে রাজ্যপালকে এই কথা জানান আধিকারিকেরা।