কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে বুধবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি আদালতে পেশ করল রাজ্য। ২০১৪’র টেট পরীক্ষায় ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নথি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জমা দিল প্রাথমিক শিক্ষা সাংসদ।
রাজ্যের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মামলা চলছে। মামলাকারির অবশ্য দাবি, চলতি বছর ১৬ হাজার ৫০০ মিলিয়ে মোট ৫৮ হাজার নিয়োগ হয়েছে। জমা পরা ওই নথি মামলকারিকে খতিয়ে দেখার সুযোগ দিতে চায় আদালত। নথি খতিয়ে দেখে মামলাকারির আইনজীবী শুভ্র লাহিরিকে আগামী ১৫ নভেম্বর আদালতে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কোর্টের বক্তব্য, আপাতত নথি খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি প্রাথমিকে স্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়েও বুধবার শুনানি হয় আদালতে। ২০১৬ সালে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সম্পূর্ণ তথ্য ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তবে সমস্ত জেলার রিপোর্ট সহ নথিগুলি সিল বন্ধ খামে জমা দেওয়ার সময় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সংসদকে। আদালতের প্রশ্ন, কেন সিল করা হয়েছে? লুকানোর কি আছে!
তবে মামলাকারীর দাবি, চলতি বছরেও বেশ কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। সেটাও পেশ করা হোক। আগের তালিকায় যে অনিয়ম হয়েছে সেই রিপোর্ট আদালতের কাছে আছে। নথি খতিয়ে দেখে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মামলাকারীদের আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জেলা শাসকদের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ মুখ্য সচিবের
উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষকের অভাবে বহু স্কুল বন্ধের মুখে। দিনে দিনে বেড়েছে স্কুল ছুটে সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মোট কতগুলি বিদ্যালয় রয়েছে ওই বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত কত? ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপাত কত? প্রতিটি বিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক কি আদৌ রয়েছে? তা নিয়ে রাজ্যকে সেপ্টেম্বরেই বিস্তারিত রিপোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের এবার ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের
এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দেয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, রাজ্যে কতগুলি বিদ্যালয় আছে এবং তাতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের সংখ্যা কত এবং শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা সমানুপাতিক কিনা এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য থাকা উচিৎ। এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখেই তিনি ওই নির্দেশিকা জারি করেন।