কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করা পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকরাও যখন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তখন উলটপুরাণ কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে। অনলাইন পরীক্ষায় টোকাটুকির ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে, এই বক্তব্য জানিয়ে স্কুলে বসে লিখিত পরীক্ষার দাবি জানালেন তাঁরা।
স্কুলে চলছে গরমের ছুটি। তারই মধ্যে বাড়িতে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে পরীক্ষা দিতে বলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিনব পরীক্ষা কর্মসূচি স্কটিশ চার্চ স্কুলে। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, ২৭ জুন স্কুল খোলার পরে পরীক্ষা নিতে হবে অফলাইনে। প্রশ্নপত্র বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে অসৎ উপায় অবলম্বন করে বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার প্রবণতা থাকে অনেক ছাত্রদেরই মধ্যে। আর তাতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। তারই প্রতিবাদে এদিন শামিল হয়েছিলেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: Agnipath Violence: অগ্নিপথের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ দেশ
এই প্রসঙ্গে বারংবার মেল মারফত জানানো হলেও কোনও রকম উত্তর দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেই অভিযোগ তাঁদের। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আগামী ২০ তারিখ প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে হবে অভিভাবকদের। তারপর সেই প্রশ্নপত্র দেখে উত্তর লিখে ২৭ তারিখ স্কুলে জমা দিতে হবে ছাত্রদের। এইভাবে হোম অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে পরীক্ষার কোনও যুক্তি নেই। তাই পরীক্ষা এইভাবে না নিয়ে বরং আগের মতোই স্কুলে বসে নেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন অভিভাবকরা। সেই দাবিতেই এদিন সকালে প্ল্যাকার্ড-পোস্টার হতে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। আগামী ২০ জুন ফের বিক্ষোভে শামিল হবেন তাঁরা।