কলকাতা : স্কুল খোলা নিয়ে কাটল আইনি জট। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকেই খুলছে স্কুল। রাজ্য সরকারের ২৯ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তি বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
করোনা পরিস্থিতিতে ২৩ মার্চ ২০২০ সাল থেকে সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে রাজ্যের সমস্ত অফিস, দোকান বাজার খুললেও স্কুল-কলেজ কেন খুলছেনা? এই প্রশ্ন বার বার উঠছিল বিভিন্ন মহলে। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুল খোলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যার ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছিল পড়ুয়ারা।
এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরই সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপর ২৫ অক্টোবর উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যসচিবকে স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৬ অক্টোবর প্রায় ২০ মাস পর স্কুল খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। স্যানিটাইজেশনের কাজ থেকে শুরু করে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছিল জোরকদমে।
আরও পড়ুন – বাণিজ্য সম্মেলনে কত কর্মসংস্থান হয়েছে জানতে চাইলেন রাজ্যপাল
এই পরিস্থিতিতে ঠিক স্কুল খোলার আগেই রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। হলফনামায় জানানো হয়েছিল, স্কুল খোলার জন্য রাজ্যের নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নেই। পড়ুয়ারা টিকা নেয়নি। এই অবস্থায় স্কুল খুললে পড়ুয়ারা আক্রান্ত হবে। এই মামলায় শুনানি ছিল আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।
এই মামলার দিন আদালতে কোনও অবিভাবক উপস্থিত ছিলেন না। এর পরেই আদালত আবেদনকারীকে জানায়, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের কোনও অবিভাবক আদালতে এলেন না কেন? অবিভাবকরা যদি মনে করতেন অসুবিধার সম্মুখীন হবে তাঁরা অবশ্যই আদালতের দ্বারস্থ হতেন। আপনি এই মামলা করেছেন কার স্বার্থে?
আরও পড়ুন – ইংরেজিতে সাবলীল, হাতে ভিক্ষার পাত্র, আরতিকে স্কুলে পাঠাবেন অনুপম
এরপর আদালত রাজ্যের সিদ্ধান্তই বহাল রাখে। খারিজ করে দেওয়া হয় ওই মামলা। আদালতের তরফে জানানো হয় রাজ্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৬ নভেম্বর থেকেই খুলবে স্কুল। তবে, মেনে চলতে হবে সমস্ত নির্দেশিকা। এছাড়াও আদালত জানায়, আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে মামলাকারি সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছেন না। সে কারণেই এই মামলা খারিজ করা হল। নির্দিষ্ট ভাবে ওই শ্রেণীর পড়ুয়া বা অভিভাবকরা বা শিক্ষকরা চাইলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অভিযোগ জানাতেই পারেন।