কলকাতা : ত্রিপুরায় আক্রান্ত বামপন্থী কর্মী এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে অর্থ সংগ্রহ করলেন সিপিএমের নেতৃবৃন্দরা। ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার কলকাতার মোট ৭টি জায়গা থেকে গণ অর্থ সংগ্রহ করতে দেখা গেল বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমকে। তাদের সঙ্গে কাজে যোগ দেন দলের অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা।
ত্রিপুরায় শাসক দল বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বামপন্থী কর্মী এবং সাধারণ মানুষ। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে বুধবার কলকাতার ৭টি জায়গা থেকে গণঅর্থ সংগ্রহ করলেন তাঁরা । এই ৭টি জায়গা ছিল নিউমার্কেট, বেহালা, খিদিরপুর, দমদম, গড়িয়াহাট, শ্যামবাজার ও উল্টোডাঙ্গা। এই সাত জনবহুল এলাকার ফুটপাতের হকার, রাস্তার পাশের দোকান, ছোট ব্যবসায়ী এবং পথচলতি মানুষের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চাইলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : ত্রিপুরায় বিজেপি-সিপিএমের ‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের অভিযোগ সুস্মিতার
নিউ মার্কেট এলাকা থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন বিমান বসু। তিনি জানান, ত্রিপুরার মানুষের ওপর ফ্যাসিবাদী কায়দায় আক্রমণ করছে বিজেপি। সেখানকার বামপন্থী কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, হামলা চালানোর পাশাপাশি সিপিএমের ৪০টি’র বেশি দলীয় কার্যালয় ভেঙে দিয়ে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বামপন্থী কর্মীদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি বলেই অভিযোগ জানান তিনি।
বুধবার বেহালা ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অর্থ-সংগ্রহ করেন সিপিএমের পলিট ব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। করোনা মহামারীর সময় রেড ভলেন্টিয়ারদের কাজ নিয়ে তিনি জানান, করোনা মহামারীর সময় সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিল তাঁরা। এখনও সাধারন মানুষ তাঁদের ভরসা করেন বলে জানান সেলিম। তাই এই অর্থ সংগ্রহে যোগ দিচ্ছে সাধারণ মানুষ বলেই মত তাঁর।
আরও পড়ুন : বিজেমূল তত্ত্ব ভুল ছিল, তৃণমূলের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়ে জানাল CPI
বুধবার শ্যামবাজার এলাকার হাতিবাগান থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি জানান, ত্রিপুরা জুড়ে বিজেপির আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে তাঁর নিজের কেন্দ্র ধনপুরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সেই এলাকার সাধারণ মানুষের দৌলতে নিজের এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন তিনি। সেই ক্ষোভে রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষ এবং বামপন্থী কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়ানো পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীদের কর্তব্য বলে মনে করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তাই তাঁদের সাহায্য করতে এই অর্থ সংগ্রহ করছেন তাঁরা।
একই ভাবে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী গড়িয়াহাট এলাকায় গণঅর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেন। খিদিরপুর এলাকায় অর্থ সংগ্রহে যান অমিয় পাত্র এবং রামচন্দ্র ডোম। দমদম স্টেশন এলাকায থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন পলাশ দাস, কনীনিকা বোস, আভাস রায়চৌধুরীর ও রবীন দেব সহ সিপিএমের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।