ওয়েবডেস্ক- কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সহ সমস্ত চিহ্নিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত (Court) অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। কুণাল সহ আট জনের বিরুদ্ধে রুল জারি (Court issues rule)
করেছে আদালত। নির্দেশ বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের বৃহৎ বেঞ্চের।
কেন আদালতের এই নির্দেশ-
বিচারপতি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অবমাননা, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থা অভিযোগে এই মামলা।
আদালতের পর্যবেক্ষণ-
এই মামলা পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটি খুব সিরিয়াস বিষয়। আদালত নির্দেশের পরেও কেউ মানছে না।” আইনজীবীদের হেনস্থার ঘটনায় তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছে আদালত।
বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ও সব্যসাচী ভট্টাচার্যে’র মন্তব্য, আদালত কুণাল ঘোষকে জেলে পাঠাচ্ছে না এখনই। কলকাতা হাইকোর্টের সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও তার জুনিয়রদের ওপর আক্রমণ। পাশাপাশি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য। তবে আদালত অবমাননার ‘রুলে’র উত্তর দিতেই হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আদালত মনে করছে এই ঘটনা আদালত অবমাননার সামিল।
আরও পড়ুন- জাল ডিগ্রি নিয়ে বিপাকে শান্তনু সেন, বাতিল হতে পারে রেজিস্ট্রেশন
বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা রুল জারি করা হোক। না হলে অভিযুক্তরা দিনের পর দিন মামলার মুলতুবি চেয়ে সময় নিয়ে যাবে।
কুণাল ঘোষের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, ঘটনার সময় অকুস্থলে ছিলাম না। একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমায় উত্তর দেওয়ার জন্য একটু সময় দেওয়া হোক। কুণাল ঘোষ এজলাসে উপস্থিত আছেন।
আদালত সূত্রে খবর, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা পুলিশ কমিশনার সিল বন্ধী খামে একটি রিপোর্ট জমা করল কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট মামলার সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত আইনজীবীদের দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত বলেন, ওইদিনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ ডেকে এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ ও করেনি। আদালতের নির্দেশ স্বত্তেও অভিযুক্তরা হফলকনামা জমা করল না হাইকোর্টে। নিগৃহীত আইনজীবীদের আইনজীবী রিজু ঘোষাল সওয়াল করেন, “সেদিনের ঘটনার সঙ্গে কুণাল ঘোষের লিঙ্ক রয়েছে।”
১৬ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনে হলফনামা জমা করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের পাশে নিজের চেম্বারে শারীরশিক্ষা সহ কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের হেনস্থার শিকার হন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যসহ তাঁর সহকারি ফিরদৌস শামিম, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত দাশগুপ্তরা। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভের নামে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়। এই ঘটনায় কুণাল ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনের নাম জড়ায়। আদালত অবমাননার প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। সেই মামলা গ্রহণ করে ৩ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যয়, বিচারপতি সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
দেখুন ভিডিও-