কলকাতা: আরজিকরের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় (RG Kar Scam Case) সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ঘনিষ্ট আফসার আলি খান, সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহের জামিনের আবেদনের মামলায় নির্যাতিতার মৃত্যুর ঘটনা সঙ্গে এই তিনজনের যোগ রয়েছে বলে উল্লেখ সিবিআই আইনজীবীর। তদন্ত চলছে প্রমাণ জোগাড় করছে তদন্তকারী সংস্থা, আদালতে জানাল সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে তিনটে আবেদন একত্রিত করল আদালত। পাশাপাশি সিবিআই এর তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিযুক্তের আইনজীবীরা।
আফসার আলি খানের আইনজীবী আদালতে বলেন, সিবিআইয়ের কি সমস্যা আছে জানি না। আমরা সহজেই জামিন পেতে পারি। রাজদীপ মজুমদার সিবিআই বলেন, এটা আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলা। আফসার আলি খানের আইনজীবী জানান, আমার মক্কেল আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অফিসের সিকিউরিটি গার্ড। তিনি ইতিমধ্যেই ৬ থেকে ৮ মাস ধরে জেলে রয়েছেন। এখানে ১৫০ জন সাক্ষী আছে বলে জানি কিন্তু আমার বিরুদ্ধে এখনও কোনও চার্জ ফ্রেম হয়নি। চার্জশিটে বলা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ একটা ফেক কোটেশান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং অনৈতিক ভাবে তাঁর স্ত্রীকে ওই ক্যাফের দায়িত্ব দেন। অভিযোগ আফসার আলির এর মধ্যে যোগ ছিল।
আরও পড়ুন: কার্ডিয়াক সার্জারি রাজ্যপালের, রাজভবনে ফিরছেন আজ
আফসার আলির সঙ্গে জড়িত ছিল শশী কান্ত চাড্ডা নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু এখানে কোথাও বলা হয়নি বা কোনও প্রমাণ নেই যে আমি ওই ফেক বিডের অংশ ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের যা অভিযোগ সবই মৌখিক। কোনও চার্জ ফ্রেম করা হয়নি। নয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আমাকে হেফাজতে রাখার কি কোনো কারণ আছে তাহলে? রাজদীপ মজুমদার, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এই কেস আমাদের কাছে ট্রান্সফার করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের থেকে। এই নিয়ে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করা হয়েছিল। তারপর এটা আমাদের হাতে আসে। আর এই মামলার সঙ্গে আরজি করের মূল ধর্ষণের এবং খুনের ঘটনার যোগ আছে বলে এটা আমাদের হাতে দেওয়া হয়েছিল। এখানে ডিসচার্জ মামলার শুনানি রয়েছে। আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয় এবং আখতার আলীর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে আসে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন দুপুর দুটোয়।
অন্য খবর দেখুন