কলকাতা: ৫০ ছুঁয়েছে বয়স। বর্ণময় চরিত্রের তারকনাথ বাবু বাড়ির ভিতরে বানিয়ে ফেলেছেন হুবহু একটি নবান্ন। চোখধাঁধানো শিল্পকর্মে তারকনাথ বাবুর জুড়ি মেলা ভার। এর আগে বানিয়েছেন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, হাওড়া ব্রিজ বিবেকানন্দ সেতুসহ বহু দর্শনীয় স্থাপত্য।গত ১০ বছর ফুলবাগান গণেশ টকিজ রুটের অটো ড্রাইভার ছিলেন তারকনাথ দে। তাই তিনি এর আগে বানিয়েছিলেন একটি অটো রিস্কা। এখানেই শেষ নয় , গত আট মাস ধরে বানিয়েছেন একটি নবান্নের রেপ্লিকা। তার জন্য তাঁকে কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি। বারেবারে ছুটে গেছেন গঙ্গাপারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক ভবনকে দেখতে। বাধার সম্মুখীনও হয়েছেন একাধিকবার। শেষমেশ বহু চেষ্টা করে নবান্নের কর্তব্যরত কয়েকজন পুলিশকর্মীদের চেষ্টায় নবান্নে প্রবেশের অনুমতি পান তিনি। ৮ থেকে ১০ বার তিনি নবান্নের বিভিন্ন দিক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন ব্রডওয়েতে আদিত্য চোপড়ার ডেবিউ
অবশেষে ৮ মাসের চেষ্টায় বাড়ির ভেতরেই হুবুহু একটি নবান্নে রেপ্লিকা তৈরি করেছেন তারকবাবু। এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত গুণী শিল্পী হিসেবেই তাঁর সমাদর যথেষ্ট। ২ফুট বাই দেড় ফুট জায়গার মধ্যে বানিয়ে ফেলেছেন এই ১৪ তলা বিল্ডিং। নবান্নের রেপ্লিকা তৈরি করতে তিনি ব্যবহার করেছেন, কার্ডবোর্ড মেসো নাইট বোর্ড,। তারকনাথবাবুর ইচ্ছা পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নবান্নের আদলে তৈরি বিল্ডিংটি উপহার হিসেবে দেবেন। বিনিময় শুধুমাত্র পরিচর্যার সুযোগ টুকু নিতে চান তারকনাথ বাবু।
আরও পড়ুন নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাহ্য করে মজুদ, দিল্লিতে বাজেয়াপ্ত ১,১১৫ কেজি বাজি
মাধ্যমিক পাস করার পর তার ইচ্ছা ছিল কারিগরি শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করবেন। কিন্তু আর্থিক কারণে তা সম্ভব হয়নি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই কাজ তাঁর নেশা হয়ে ওঠে। তাই বাধ্য হয়েই টাইপরাইটার রিপেয়ারিং এর কাজ করতেন। বর্তমানে কম্পিউটার এর যুগে এই টাইপরাইটারের কাজও প্রায় বন্ধ। কিন্তু এত আর্থিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজের নেশা থেকে এতোটুকু সরেননি তারকনাথ বাবু। আগামী দিনে তাঁর ইচ্ছা দুবাইয়ের বুর্জ খালিফা সহ সমস্ত দর্শনীয় স্থাপত্যের রেপ্লিকা তৈরি করবেন।