কলকাতা টিভি অ্যালার্জি অব্যাহত শুভেন্দুর। বুধবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের পাল্টা কর্মসূচি পালন করে বঙ্গ বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত দলীয় কর্মীদের স্মরণেই ছিল এই অনুষ্ঠান। হেস্টিংসে দলীয় দফতরে রাজ্যের বিজেপি নেতারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও। সেখানেই এদিন বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সবশেষে দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এই পর্যন্ত সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু সুর কাটল অনুষ্ঠানের পর অডিটোরিয়াম থেকে শুভেন্দুর বেরিয়ে যাওয়ার সময়। সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্যে আইনের শাসন নয়, দলীয় শাসন চলছে। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জঞ্জাল পার্টি তৃণমূলকে সাফ করার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার কমিশনে বিজেপির লোক, রাজ্যের ‘হিংসা’ নিয়ে ভুলে ভরা রিপোর্ট: মমতা
ঠিক এই মুহূর্তেই শুভেন্দুর কাছে প্রশ্ন রাখা হয় কলকাতা টিভির তরফে। ‘’আজ এই রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে জঞ্জাল পার্টি বলে সাফ করার ডাক দিচ্ছেন, অথচ কিছুদিন আগে যখন আপনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, তখন বিজেপিকে ভারতীয় জঞ্জাল পার্টি বলে আখ্যা দিয়েছিলেন আপনি নিজেই। তাহলে কোনটা ঠিক? আগে যেটা বলেছেন, না আজ যেটা বললেন?’’
এই প্রশ্ন শুনেই কলকাতা টিভির সাংবাদিককে এড়িয়ে সোজা লিফটের দিকে ছুটে যান শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছুটে যান দেহরক্ষীরাও। লিফটের ভেতর ঢুকে পড়লেও একই প্রশ্ন করতে থাকেন কলকাতা টিভির সাংবাদিক দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে মুখ ঘুরিয়ে তাড়াতাড়ি লিফট ছাড়তে নির্দেশ দেন শুভেন্দু। প্রশ্নের জবাব মেলেনি। কিন্তু সবার সামনে এই ঘটনা ঘটায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: কোভিডে মোদি সরকারের ‘মনুমেন্টাল ফেলিওর’: মমতা
কলকাতা টিভির বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর এহেন উষ্মা অবশ্য নতুন নয়। গত ৬ জুলাই বিধানসভায় কলকাতা টিভি লোগোর সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের লোগোর সম্পর্ক টেনে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হয়ে যখন যে জেলায় প্রচারে গিয়েছেন সেখানেই কলকাতা টিভির প্রতিনিধিদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। কলকাতা টিভির সম্পাদক কৌস্তুভ রায় অবশ্য আগেই বলেছেন, শুভেন্দু নিতান্তই ‘খোকন’। তাই কড়া প্রশ্নে খোকন যে পিঠঠান দেবে, তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে।