কলকাতা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নোদাখালিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বারুদের স্তূপে বসে পশ্চিমবঙ্গ। বুধবার সাতসকালে সাতগাছিয়ার বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
নোদাখালির বিস্ফোরণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বে অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। উপরতলার নির্দেশে পুলিশও সরে দাঁড়িয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। বারুদের স্তূপে বসে আছে। এনআইএকে দিয়ে অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।’
আরও পড়ুন: Nodakhali Blast: নোদাখালি বিস্ফোরণে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি, পুলিসি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপি’র
Gory horrific images emanating from Budge Budge; South 24 Pargana; where an illegal explosive factory got destroyed due to explosion. People died, house destroyed, area terrorised.
This district has become the hub of JMB & jehadis from Bangladesh.— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) December 1, 2021
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালি থানা এলাকার নস্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর আর্যপাড়ায় তীব্র বিস্ফোরণ হয়। বৈধ সম্মতি ছাড়াই বাজি কারখানাটি চলছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। বাড়ির মালিক বছর ৪৮-এর অসীম মণ্ডল-সহ তিন জন বিস্ফোরণ মারা গিয়েছেন। মৃত বাকি দু’জনের একজন অসীম মণ্ডলের সম্পর্কে মামি কাকুলি মিদদে, অপর জন ওই কারখানার কর্মী অতিথি হালদার। বিস্ফোরণে আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন। সাতসকালে বিস্ফোরণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নোদাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Nodakhali Blast : নোদাখালিতে বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির ছাদ, মৃত ৩
বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে স্থানীয়দের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সাতগাছিয়ার ওই অবৈধ বাজি কারখানা আদৌ কি বাজি তৈরি হত? এদিন বিস্ফোরণের জেরে এলাকার মানুষ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে তাঁরা বিরক্ত। দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবি, কোনও ভাবেই অবৈধ বাজি কারখানা এলাকায় আর চলতে দেওয়া যাবে না।