কলকাতা: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incidenrt) পুলিশের উর্দি এবং হাওয়াই চটি পরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, নন্দীগ্রামে এভাবেই পুলিশের উর্দি এবং হাওয়াই চটি পরে সিপিএমের লোকজন গ্রামে গ্রামে মানুষকে মারধর করেছে। তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে শুক্রবার রাতে সন্দেশখালিতে। তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপির কয়েকজন কার্যকর্তার বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলাদের উপরও অত্যাচার হয়। অকথ্য গালিগালাজ করা হয়। পুলিশ মহিলাদের ধর্ষণেরও হুমকি দিয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, তাঁর কাছে সেই সব ছবি এবং অন্য প্রমাণ রয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, গতকাল থেকে আকাশ মাঘারিয়ার নেতৃত্বে ১২ জন আইপিএস অফিসার ঘুরে বেড়াচ্ছেন সন্দেশখালিতে। তাঁদের নেতৃত্বেই অত্যাচার চলে। বিরোধী নেতা জানান, কেন্দ্রীয় সরকারকে সব জানানো হবে।
এদিকে তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দু অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, প্রচারের আলোয় ভেসে থাকার জন্য শুভেন্দু যা খুশি তাই বলে চলেছেন। দলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, শুভেন্দু আগুন জ্বালাতে চাইছেন। বিরোধীদের প্ররোচনা রয়েছে সন্দেশখালির ঘটনার পিছনে।
রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, কোথায় নন্দীগ্রাম, আর কোথায় সন্দেশখালি। নন্দীগ্রামে পুলিশের উর্দি পরা সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। শুভেন্দুর কাছে কোনও প্রমাণ আছে?
আরও পড়ুন:সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের
এরই মধ্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সন্দেশখালিতে একটি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই দলটি সন্দেশখালি পরিদর্শন করবে। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে কি না, তা দলটি খতিয়ে দেখবে। রোহিঙ্গাদের আনাগোনার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে তারা। সাধারণ মানুষের সঙ্গেও প্রতিনিধিরা কথা বলবেন। ওই দলে থাকবেন প্রাক্তন বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার রাজপাল সিং, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য চারু ওয়ালি খান্না প্রমুখ। তবে এতদিন পর সন্দেশখালি গিয়ে ওই প্রতিনিধিরা কী পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অন্য খবর দেখুন