কলকাতা: কসবার ল কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডের (South Calcutta Law College) প্রতিবাদে কসবা থানার সামনে নারী ঐক্য মঞ্চের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। অন্যদিকে, গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত চলছে বিজেপির মশাল মিছিল। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ‘নারী সুরক্ষা যাত্রা’। ২ জুলাই কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। যুব মোর্চা এই অভিযানের ডাক দিয়েছে। থাকবেন শুভেন্দুও।
কসবার ঘটনা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, “বাংলায় কোনও কন্যা, বোন, মেয়ে, মা কেউ নিরাপদ নন। হাঁসখালি থেকে শুরু করে কালিয়াগঞ্জ, আরজি কর, সমস্ত ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলে এসেছেন, লাভ-অ্যাফায়ার, অন্তঃসত্ত্বা। টাকা দিয়ে দিলেই নাকি হয়ে যাবে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) যতক্ষণ না সরানো হবে ততক্ষণ কেউ নিরাপদ নয়।”
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে ৫ সদস্যের সিট গঠন
তিনি আরও বলেন, “কসবাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। সামগ্রিকভাবে আমাদের রাজ্যের কন্যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সুরক্ষিত নয়। আগামী দিনে কয়েক সপ্তাহে যত আমার কর্মসূচি হবে, আমি কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করব।”
কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর নির্যাতিতা কসবা থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রথমে দু’জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। অভিযোগ, কসবার কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে কলেজের ভিতরেই। মূল অভিযুক্ত কলেজের প্রাক্তনী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তিনি আবার কলেজের অস্থায়ী কর্মীও। গত ২৫ জুন ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। তা প্রত্যাখান করতেই যুবতীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তাঁকে এই ঘৃণ্য অপরাধে সাহায্য করেছিল কলেজেরই দুই পড়ুয়া। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে কলেজের সরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর:
