কলকাতা: সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court On Sundarbans)। মামলা দায়ের করল দক্ষিণবঙ্গ বঙ্গ মৎস্যজীবী সমিতি (Tiger Attack On Sundarbans)।
মাঝে মধ্যেই সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত্যুর খবর শোনা যায়। জীবিকার তাগিদে জঙ্গলের ভিতরে যেতে হয় গ্রামবাসীদের। কিন্তু তারপর আর অনেকের ফিরে আসা হয় না। বাঘের মুখে পড়ে মারা যান বহু মৎস্যজীবী। এভাবেই সুন্দরবন এলাকার বহু মানুষদের প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আইনজীবী অভিষেক সিকদার জানান, জীবিকার তাগিদে মাছ, কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনের অনেক বাসিন্দাকে জঙ্গলের ভিতরে যেতে হয়। সেখানেই তাঁরা বাঘের হানায় মৃত বা জখম হন। আইনজীবীর দাবি, নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পেয়ে পরিবারগুলি নানা বিপর্যয়ের শিকার হয়। তাঁর আবেদন, আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াক।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: পোল্যান্ড-রোমানিয়া সীমান্তে ভারতীয়দের উপর হামলা ইউক্রেনের
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, বাঘের হানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে। তবে সুন্দরবন অঞ্চলে বাফার জোন আছে বন আইন অনুযায়ী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দেখা যায়, বাফার জোন অতিক্রম করার ফলে অনেকেই বাঘের আক্রমণের শিকার হন। সেক্ষেত্রে সরকার নিরুপায়।
আদালতের নির্দেশ, বাঘের হানায় কত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, কতজন অক্ষম হয়ে গিয়েছে, রাজ্য সরকারকে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, কত পরিবারকে সহায়তা দেওয়া যায়নি এবং কেন দেওয়া যায়নি, জানাতে হবে তাও। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার বিবরণও চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টে জানাতে হবে।