ওয়েবডেস্ক: ঘরছাড়াদের (homeless) নিয়ে সুকান্তর (Sukanta Majumder) হঠাৎ করে ভবানী ভবন (Bhavani Bhavan) অভিযানে ঘিরে যানজটে নাকাল হতে হল অফিসযাত্রীদের। পুলিশকে কোন আগাম বার্তা না দিয়ে ভবানী ভবনে হাজির হয়ে যান তিনি। পরে বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের (Bjp MLa Shankar Ghosh) নেতৃত্বে বেশ কিছু বিধায়ক আসেন ভবানী ভবনে। বৈঠকে গেছেন সুকান্ত, অর্জুন , তাপস রায়, জগন্নাথ। সাথে আটজন ঘরছাড়া। এদিকে
আলিপুর (Alipur) দিক একটি ব্যস্ততম রাস্তা বলেই পরিচিত। সেখানে এই যানজট ঘিরে সমস্যা তৈরি হয়। বিজেপির প্রতিনিধি দলকে সেখান থেকে উঠে যাওয়ার কথা বলেন।
আরও পড়ুন-অবশেষে ভবানী ভবনে ঢুকলেন সুকান্তরা, ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের
এ প্রসঙ্গে DC বলেন, “ট্র্যাফিকের (Traffic) সমস্যা হচ্ছে।” তখন বিজেপি নেতৃত্ব বলেন, “ঘরছাড়ারা মালদহ থেকে এসেছেন। আর আপনারা ট্র্যাফিকের কথা বলছেন।” একইসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ডিজি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকলে মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। আমরা জানি, উনি নবান্নে কতক্ষণ থাকেন আজ।”
বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঘরছাড়াদের নিয়ে ভবানী ভবনে আসেন সুকান্ত মজুমদার । গেটের সামনে বসে পড়েন তিনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের (DG Rajib kumar) সঙ্গে ঘরছাড়াদের কথা বলানোর জন্য সেখানে পৌঁছলেন তিনি।
সুকান্ত সহ বিজেপির প্রতিনিধি দলকে ভবানী ভবনে ঢোকার আগেই আটকায় পুলিশ। পুলিশ জানায় আগাম অনুমতি না নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে এভাবে দেখা করা সম্ভব নয়। এরপর সেই নিয়েই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে পুলিশের উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এদিন ডিজির সঙ্গে কথা বলার পর অবশ্য সুকান্ত জানান, ঘরছাড়াদের কথা উনি শুনেছেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন। তবে আমরা আশ্বাস পাইনি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির বলেন, ঘরছাড়া মা, বোনেরা সেই কোন ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এখানে এসেছেন। তাদের ধৈর্য্যের প্রশংসা করছি। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ওরা সরকারি ক্যাম্পে ঠিক মতো খাবার পাচ্ছি না। তাই বিজেপির তরফ থেকে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুকান্তর দাবি, “আমি চাই পুলিশ নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ নিক কেন্দ্র। ৫-৬ রাজ্যে বদলি করা হোক। নইলে এক জায়গায় থেকে পুলিশ দুর্নীতিবাজ হয়ে যাচ্ছে।” সুকান্ত আরও দাবি, মুর্শিদাবাদের ওই অশান্ত এলাকায় একটি বিএসএফ ক্যাম্প ছিল। সেই ক্যাম্প আবার খোলা হোক।
দেখুন অন্য খবর-