কলকাতা: বুধবার কলকাতা শহর স্তব্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP state president Sukant Majumder)। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আগামিকাল কলকাতায় গেরুয়া ঝড় বইবে। বিজেপি সভাপতি জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে কর্মী, সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। আগামিকাল ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির সভা। ওই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, কালকের সভার মূল স্লোগান হল, ফিরছে মোদি, যাচ্ছে দিদি।
পুলিশ ওই জায়গায় সভা করার জন্য প্রথমে বিজেপিকে অনুমতি দেয়নি। বিজেপি দুবার আবেদন করে। সেই আবেদন পুলিশ ফিরিয়ে দেওয়ার পর দল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা করে। বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, কলকাতা পুলিশকে ওই জায়গাতেই বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিতে হবে। রাজ্য সরকার বিচারপতি মান্থার নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে। সেই বেঞ্চও বিচারপতি মান্থার নির্দেশই বহাল রাখে। ফলে মুখ পোড়ে রাজ্য সরকারের। তার পরেও তারা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত শাসকদল আর দিল্লিমুখো হয়নি। এরই মধ্যে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে যদি তৃণমূল সভা করতে পারে, তবে অন্য রাজনৈতিক দল করতে পারবে না কেন। মামলা করে তিন পয়সার বিজেপিকে গুরুত্ব দেওয়া হল। তারা প্রচারের আলোয় এসে গেল। এর কোনও দরকার ছিল না। কারা শীর্ষ নেতৃত্বকে এসব পরামর্শ দেয়, জানি না।
আরও পড়ুন: একশো দিনের টাকার দাবিতে তৃণমূলের অবস্থান বিধানসভায়
মঙ্গলবার সুকান্ত ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা দফায় দফায় ধর্মতলায় সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও নিরাপত্তার বিষয় খুঁটিয়ে দেখেন। সমাবেশস্থলেই সুকান্ত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আদালতের নির্দেশে কাল ধর্মতলায় সভা হবে। সমাবেশে আসার পথে তৃণমূলের গুন্ডারা যদি বাধা দেয়, তবে আমাদের কর্মীরা উপযুক্ত জবাব দেবেন।
তৃণমূল একশো দিনের কাজের প্রকল্পে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিতদের হয়ে আন্দোলনে নেমেছে। বিজেপি এবার পাল্টা বঞ্চনার অভিযোগ এনেছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের চুরির কারণে যারা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের বুধবার সমাবেশে আনা হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) বলেন, আসল বঞ্চিতরা কাল অমিত শাহের সভায় আসবেন। বুধবার তৃণমূলের মুখোশ খুলে দেব আমরা।
দলীয় সূত্রের খবর, বঞ্চিতদের কয়েকজনকে প্রতীক হিসেবে মঞ্চে তোলা হতে পারে আগামিকাল। চারটি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে সমাবেশস্থলের থেকে অনেক দূরে। সুকান্ত বলেন, ভিড়ের চাপে অনেকে হয়ত ধর্মতলায় ঢুকতে পারবেন না। তাঁদের জন্য জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা থাকবে। রাজ্য সভাপতির দাবি, ২০১৪ সালে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অমিত শাহের সভায় যে ভিড় হয়েছিল, বুধবারের সভা সেই ভিড়কেও ছাপিয়ে যাবে।
আরও অন্য খবর দেখুন