কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের বার্ধক্য পেনশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন আগেই। তাঁর দাবি, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই পেনশন প্রকল্পের টাকা দেবেন ভোটারদের। এটা কী করে সম্ভব, তা জানতে চেয়ে আয়কর দফতরের প্রিন্সিপ্যাল ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। চিঠিতে তাঁর দাবি, এর পিছনে বড়সড় আর্থিক অনিয়ম রয়েছে। এর তদন্ত দরকার।
প্রসঙ্গত, রবিবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে পৈলানে এক সভায় সাংসদ প্রতীকীভাবে একশোজনকে হাজার টাকা করে পেনশনের চেক তুলে দিয়েছেন। ওই সভায় তাঁর আরও ঘোষণা, যতদিন না রাজ্য সরকারের বার্ধক্য পেনশন বয়স্করা পাচ্ছেন, ততদিন এই প্রাইভেট প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
শুভেন্দু আয়কর দফতরে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, ওই সাংসদ উপভোক্তাদের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। তিনি গতকালের সভায় জানান, ৮৫ হাজার প্রবীণ ওই পেনশন প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করান। স্বেচ্ছাসবকরা নথিপত্র খতিয়ে দেখে ৭৬ হাজার ১২০ জনের নাম চূ়ড়ান্ত করেছেন। ১০ জানুয়ারির মধ্যে সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম মাসের টাকা ঢুকে যাবে। শুভেন্দুর দাবি, এর ফলে প্রতি মাসে ৭ কোটি ৬১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। তাঁর প্রশ্ন, এটা কার টাকা।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের অধীনে ভাঙড়ের ৪ থানা, ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
আয়কর দফতরে লেখা চিঠিতে বিরোধী নেতা আরও জানান, সাংসদ ১৬ হাজার ৩৮০ জন বড় হৃদয়ের স্বেচ্ছাসেবককে পেয়েছেন, যাঁরা প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ডোনেশন দিতে সম্মত হয়েছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য। শুভেন্দু আয়কর দফতরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, কয়লা পাচার এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছেন ওই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো হওয়ার সুবাদে তিনি রাজ্য প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন।
চিঠিতে শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। ইডি আদালতে জানিয়েছে, রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৭০০ কোটি টাকা দুবাইতে পাচার হয়েছে। সাংসদের দুবাই-যোগ ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে বহুলচর্চিত বিষয়। বিরোধী নেতার সন্দেহ, এই প্রাইভেট প্রকল্পও আদতে একটি বড় আর্থিক দুর্নীতির চেহারা নিতে চলেছে। তাই আয়কর দফতরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।
আরও অন্য খবর দেখুন