কলকাতা: প্রথম থেকেই মানুষটা ছিলেন ফুটবল আর মোহনবাগান অন্তঃপ্রাণ। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন তাঁর প্রিয় ক্লাব মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই তারা জানিয়ে দিয়েছে, প্রয়াত মন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ, শুক্রবার ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন আর এক সুব্রত। সুব্রত ভট্টাচার্য। আর এক মোহনবাগান অন্তঃপ্রাণের মানুষ।
এ দিন সকাল ১০টা থেকে রবীন্দ্র সদনে শায়িত রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহ। অগণিত মানুষের পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘সুব্রতদা এভাবে চলে যাবেন বুঝতে পারিনি। সামনে দাঁড়াতে পারছিলাম না। কোনও দিন এভাবে দেখতে হবে ভাবিনি।’
আরও পড়ুন: ‘সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়’, মন্ত্রীর শেষ যাত্রায় থাকবেন না মমতা
দুই সুব্রতকেই মিলিয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান। সুব্রত ভট্টাচার্য যেমন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন, তেমনই অভিভাবক হয়ে উঠেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আজ, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে যেমন মোহনবাগান এক অভিভাবক হারাল, তেমনই সুব্রত ভট্টাচার্যও এক ফুটবলপ্রেমীকে হারালেন- সদন প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে এভাবেই এক সুব্রতকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন আরেক সুব্রত।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২২ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় সুব্রত মুখোপাধায়ের। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ২৪ অক্টোবর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিনই হাসপাতালে ভর্তি হন। শ্বাসকষ্ট বাড়ায় উডবার্ন ওয়ার্ডের আইসিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে অবস্থার অবনতি হয়। সেখানেই নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
আরও পড়ুন: কেমন ছিলেন ব্যক্তি সুব্রত? স্মৃতিচারণায় শাসক থেকে বিরোধীরা