কলকাতা: উচ্চপ্রাথমিক কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় দ্রুত নিয়োগ চায় রাজ্য। দ্রুত ১৬০৯ অতিরিক্ত শূনপদ নিয়োগ চায় রাজ্য। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে রাজ্যকে আবেদনের পরামর্শ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু’র। এই মামলায় মৌখিক প্রতিশ্রুতি বা হলফনামা নয়, রাজ্যকে আবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। সেই আবেদনে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৬ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।
শারীর শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার বিষয়ে অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। সুপার নিউমোরিক পোস্ট (Recruitment on Supernumerary Posts) নিয়ে রাজ্যের থেকে লিখিত তথ্য চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার এই মামালর শুনানিতে রাজ্য সরকার আদালতে জানায়, পার্থ সারথি সেনগুপ্ত আদালতে জানায়, সমস্যাটা মিটে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে সুপানিউমেরিক পোস্ট বৈধ। আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, OMR প্রকাশ করার নির্দেশ দিক আদালত। 8 এপ্রিলের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের বিষয় খারিজ করা হয়েছে। সিবিআই একটি চার্জশিট দিয়েছে যেখানে শরীর শিক্ষা ও কর্ম শিক্ষার নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রমাণ আছে এবং প্রায় ৭৮ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়ছে ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু আর সাম্প্রদায়িক মিডিয়াকে ধুয়ে দিলেন মহম্মদ সেলিম
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, বলেন, চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল এটা নিয়ে যে স্টেট সুপারনিয়ামেরিক পোস্ট তৈরি করতে পারে কিনা?আমি চার্জশিট দেখেছি। পার্থ সারথি সেনগুপ্ত, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো তার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে পাল্টা বিকাশরঞ্জন বলেন, যারা যোগ্য ।প্রার্থী শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ রয়েছে। যেটা শূন্যপদ হবে সেটা সবার জন্য হওয়া উচিত। শুধুমাত্র ওয়েটিং লিস্টে জন্য নয়। সুপার নিউমেরিক পোস্ট যদি তৈরি করা হয় তাহলে সবার জন্য হোক।
বিচারপতিবলেন, এখানে শুধু শারিরশিক্ষা না কর্মশিক্ষার কথা বলা হচ্ছে? বিচারপতি এজিকে প্রশ্ন করেন সুপার নিউমেরারি পদ নিয়ে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের বক্তব্য কী ছিল? পোস্ট ক্যাপাসিটি কত ছিল? বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য কি এই মূহূর্তে চাকরি দিতে প্রস্তুত? উত্তরে রাজ্য জানায়, “হাইকোর্টের পুরনো অর্ডার খারিজ হলে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করতে পারি। বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, “আপনি তাহলে কেন মৌখিক আর্জি করছেন? আবেদন করুন। আমি এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালানো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি বেআইনি নয়। এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কথায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো সিবিআই তদন্ত হচ্ছে না। কিন্তু অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির যে সিদ্ধান্ত, সেটা কাদের জন্য? জানতে চান বিচারপতি। তবে মৌখিক নয়, লিখিতভাবে জানাতে হবে বলে রাজ্যকে নির্দেশ। এদিকে রাজ্য অবশ্য জানিয়েছে, শূন্যপদে নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে তাঁরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্য খবর দেখুন