কলকাতা: দুর্গা পুজোর পর্বটাই শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ে মজেছিল নেটিজেনরা৷ যার রেশ এখনও কাটেনি৷ দশমীতে সংবাদ চ্যানেলে গিয়ে মা দুর্গার সামনে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ সেই মুহূর্তে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বেশাখী দেবী বলেছিলেন, ‘স্বীকৃতির অভাব কোনওদিনই ছিল না৷ স্বীকৃতির অভাব আসলে সমাজের। সমাজ এটাও দেখছে আমাদের মধ্যে সততার কোনও অভাব নেই।’
রবিবার এ বিষয়ে শোভনবাবুর স্ত্রী তথা বেহালা পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় মুখ খুললেন৷ নানান প্রসঙ্গে তুলে শোভন-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন৷ একই সঙ্গে হিন্দু আইনের কথা বলে রত্না দেবীর বক্তব্য, ওরা যদি ভেবে থাকে এসব করে রত্না দেখে রেগে গিয়ে ডিভোর্স দেবে, তাহলে ভুল৷ ডিভোর্স আমি দেব না৷ বিয়ের সিন দেখার পরে তো আরও ডিভোর্স আরও দেব না৷
এ দিন রত্না দেবী বলেন, ‘বাঙালির প্রাণের উৎসব গোটা দুর্গাপুজো জুড়ে অবৈধ আর নোংরামির বিজ্ঞাপন করে গেল শোভন আর তার রাখেল বৈশাখী! দশমীতে দেবী মূর্তির সামনে সমাজকে কলুষিত করার চেষ্টা করে দুর্গা মায়ের অপমান করেছে শোভন-বৈশাখী৷ ওদের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট গুলির কমেন্টস গুলো এনজয় করছি৷
আরও পড়ুন-মায়ের সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিলেন শোভন
আপনার রাগ-অভিমান হয়না, প্রশ্নের উত্তরে রত্না চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘অভ্যাস হয়ে গেছে৷ আমার এখন গন্ডারের চামড়া হয়ে গেছে, আমাকে কেউ এখন গুলি করলে পাঁচদিন বাদে বুঝতে পারি আমাকে কেউ গুলি করেছে৷ আমি এখন কোনও কিছুতে ধ্যানই দিই না৷ মানুষের বুদ্ধিনাশ হলে কী কী করতে পারে তা পুজোর দিন গুলিতে বাংলার মানুষ দেখল আর ওঁদের গালাগাল দিল৷ ওঁদের ভিডিও দেখার থেকে কমেন্টস বেশি পড়তাম৷ একটা মানুষ বলেনি ওরা ভালোবাসে, ওরা যা পারে করুক৷ বরং, নোংরা গালাগাল দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছে৷ এবার তোমরা থামো৷ এটা সমাজের জন্য ঠিক নয়৷ বিজ্ঞাপনের করছে৷ প্রোডাক্ট বিক্রি করতে বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন৷ কিন্তু, ওনাদের কী লাভ হচ্ছে? বরং, সংবাদ চ্যানেলের লাভ হচ্ছে৷’ আরও বলেন, ‘হিন্দু বিবাহ আইনে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও মহিলার সিঁথিতে সিঁদুর দিলেই সে কোনও পুরুষের স্ত্রী হয় না। তাকে সমাজ “রক্ষিতা” বলে।’
আরও পড়ুন-বৈশাখীর সুরক্ষা, পুলিশ কমিশনারকে চিঠি শোভনের
তবে, শুধু রত্না দেবী নন, বৈশাখী-শোভন জুটিকে নেটিজেনরা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি, আইনত তাঁরা অন্যের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন। এবং ডিভোর্স না হওয়ার পর্যন্ত এই সম্পর্কের কোনও স্বীকৃতি নেই। একজন লিখেছেন, ‘রত্না চট্টোপাধ্যায়কে আইনি ডিভোর্স না করে বৈশাখী-কে সিঁদুর দান শোভন-কে কোনও আইনি জটিলতায় ফেলবে না তো? অন্তত হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী’।
শোভনপুত্র ঋষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অবৈধ সম্পর্ককে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে তাঁরা আসলে বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন’৷ প্রতিক্রিয়ায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর দুলাল দাস বলেন, “বিয়ে নয়, এটাকে ব্যাভিচার বলে! শয়তান কোথাকার”৷