কলকাতা: চার মাসে আগে ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের নামের সঙ্গে শোভন জুড়ে দিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেছিলেন, ‘কেউ যখন আমাকে বৈশাখী শোভন ব্যানার্জী বলে ডাকেন, শুনতে ভালো লাগে৷’ সেই শোভন আজ বিজয়া দশমীর দিন প্রকাশ্যে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন৷ দুর্গা মায়ের সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুর দানের দৃশ্য মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি হয়ে সবার মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে৷ তাহলে কী বিবাহবিচ্ছিন্নকামী শোভন-বৈশাখী তাঁদের সম্পর্ককে এভাবে স্বীকৃতি দিলেন? প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা৷
শোভন-বৈশাখী৷ এই মুহূর্তে রাজ্যের সবচেয়ে চর্চিত জুটি৷ রসিকতা করে কেউ কেউ বলেন, উত্তম-সুচিত্রার পর এরকম চর্চা আগে কখনও কোনও জুটিকে নিয়ে হয়েছে কিনা সন্দেহ৷ রঙ মিলিয়ে ম্যাচিং জামা-কাপড় পরেন৷ একে অপরকে ছাড়া কেউ এক পা চলেন না৷ বহুদিন হল গোলপার্কের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে যুগল হিসেবে নতুন জীবন শুরু করেছেন শোভন-বৈশাখী৷ তখনও তাঁরা একে-অপরকে বন্ধু বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসত৷ কিন্তু ধীরে ধীরে বৈশাখীর নানা মন্তব্যে তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ পেতে শুরু করে৷ কখনও ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের নামের সঙ্গে শোভন নাম জুড়ে দেন৷ কখনও শোভনের জন্মদিনে লেখেন, ‘তুমি আর আমি তারায় তারায় লেখা আছি’৷
সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে বৈশাখী বলেছিলেন, ‘নয় নয় করে ১৩ বছর হয়ে গেল আমাদের সম্পর্কের৷’ তার পর পুজোর আগে সবুজ গালিচা পাতা ছাদে দোলায় দোল খেতে খেতে গেয়ে ওঠেন, ‘আমার চোখে তো সকলই শোভন৷’ নেটিজেনদের বক্তব্য, এসব ভালোবাসার প্রকাশ নয় তো আর কী? দু’জনের হাব-ভাব, মেলামেশা সব কিছুই তো প্রেমে পড়া যুগলের মত৷ প্রেমের পরের ধাপ বিয়ে৷ বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে সেটাও করে ফেললেন শোভন৷