কলকাতা: সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানকার এসি ঠিকঠাক কাজ না করার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার তিনি বলেন, কেএমডিএ নজরুল মঞ্চের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। তবে একসঙ্গে প্রচুর লোক ঢুকলে সেখানে এসি কাজ নাও করতে পারে। মন্ত্রী জানান, নজরুল মঞ্চে আসন রয়েছে ২৭০০। সেখানে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ ঢুকে পড়েছিল। মঞ্চের দরজাও খোলা ছিল। তাই এসি ঠিকঠাক কাজ না করারই কথা। এত ভিড়ের মাঝে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় দমবন্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে এসি ঠিক ছিল। মন্ত্রী বলেন, এত লোকের প্রবেশ রুখতে পুলিস কখনোই লাঠি চার্জ করতে পারে না।
এদিন পুরমন্ত্রী বলেন, কোন মানুষের শরীর কখন খারাপ হবে, তা কেউ বলতে পারে না। অসুস্থ বোধ করায় সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথকে (কে কে) নজরুল মঞ্চ থেকে হোটেলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
কে কে-র অকালপ্রয়াণে উদ্যোক্তাদের ব্যর্থতাই দায়ী কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, কেএমডিএ-র তরফে নজরুল মঞ্চে সমস্ত কলেজ অনুষ্ঠান বন্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কারণ এই ধরনের অনুষ্ঠানে সিট নষ্ট হয়ে যায় বলে কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন। সেই ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও ভেবে দেখব বিষয়টি। তবে নজরুল মঞ্চের এসি ঠিকঠাকই ছিল।
আরও পড়ুন: K K Death: ভিড়ে ঠাসা নজরুল মঞ্চে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলা
মঙ্গলবার গুরুদাস কলেজের সোশাল ছিল নজরুল মঞ্চে। বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র গান শুনতে মানুষের উচ্ছ্বাস ধরে রাখা যায়নি। জনস্রোতে ঠাসা অনুষ্ঠান মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কে কে। পারফর্মেন্স শেষ করে ৮.৩০ নাগাদ নিজের ম্যানেজার হিতেশ ভাটের সঙ্গে ফিরে গিয়েছিলেন ওবেরয় গ্র্যান্ড হোটেলের ৪২৮ নম্বর ঘরে। কিন্তু ঘরে ফিরেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কে কে। পড়ে যান মেঝেতে। তাঁর ম্যানেজার ফোন করেন রিসেপশনে।এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি সিএমআরআই-তে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।