ওয়েবডেস্ক- জল্পনা-কল্পনা কী অবসান হল? অন্তত বিজেপি সভাপতি বসার পর এই প্রথম শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) ও দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মধ্যে বৈঠক হল আজ। ৩০ মিনিটের বৈঠক হয় আজ। বৈঠকের পরে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, ক্ষণিকের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তার অর্থ দলের থেকে দূরত্ব নয়। বিজেপি ঐক্যবদ্ধ ছিল আর থাকবে। বিজেপিতে (Bjp) কোনও ভেদাভেদ নেই। ১৫ দিনের মধ্যে সংঘবদ্ধ বিজেপিকে দেখা যাবে।
অপরদিকে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, আজ আমি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। ওনার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি মেদিনীপুরে ওঁনাকে আসার জন্য বলেছি। সমস্ত কর্মীরা আপনার সঙ্গে আছে। দিলীপ ঘোষ দলের একজন সাধারণ কর্মী। উনি যে রকম নির্দেশ দেবেন সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
অ্যারও পড়ুন- শমীক-দিলীপ সাক্ষাৎ, কী কী বিষয়ে আলোচনা? জানুন বড় আপডেট
প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজ্যনীতি এই সময় চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে রাজনীতিতে জোর আলোচনার বিষয় ছিল দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি তার সভাপতি নির্বাচন করে। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি হন শমীক ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানের দিনও উপস্থিত ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। প্রশ্ন ওঠে তাহলে কী দিলীপ ঘোষ তৃণমূলে যোগদান করছেন?
এই পরিস্থিতির মুখে দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দেন, ২১ জুলাইয়ের পর সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। ইঙ্গিত আরও প্রশ্ন তৈরি করে দেয়। তাহলে কী ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা যাবে তাঁকে? জল্পনার মুখে তিনি জানিয়ে দেন, জল্পনা দিয়েই অনেকের রাজনীতি হয়। আমার জল ও নেই। পোনাও নেই। আমার রাজনীতি আছে। অপর দিকে এই পরিস্থিতিতে সদ্য বিজেপি সভাপতির পদে বসে শমীক ভট্টাচার্যের জবাব, দিলীপ ঘোষ কোথায় গেছেন, যে ফিরে আসবেন? দল তাঁকে যে কাজে বুঝবে সেখানে কাজে লাগাবে।
এই সমস্ত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) দিলীপ ঘোষ না শমীক ভট্টাচার্য কার দিকে ঝুঁকবেন সেটাই এখন দেখার। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দিঘার দিলীপ ঘোষের যাওয়ার পর থেকেই পরোক্ষ ভাবে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। সেই কটাক্ষের মুখে দিলীপ ঘোষের জবাব ছিল, দিলীপ ঘোষ আছে থাকবে। রাজনীতি ছাড়লেও দল ছাড়ব না। মমতার আঁচলের তলায় থেকে বড় হয়ে আমাকে বিজেপি শেখাচ্ছে?
দেখুন আরও খবর-