কলকাতা: কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয়েছে পর্যটক বৈষ্ণবঘাটা পাটুলির যুবক বিতান অধিকারীর (Bitan Adhikary)। তাঁর স্ত্রী সোহিনীর প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করছে গোটা বাংলা। সেই সহানুভূতি কি ক্রমে সন্দেহের রূপ নিচ্ছে? গত এক-দু’দিনের যা ঘটনাক্রম তাতে সেরকমই মনে হচ্ছে। বাইরের কেউ নয়, বিতানের পরিবারের তরফেই সোহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকী তাঁর পাসপোর্ট বৈধ নয় বলেও দাবি উঠেছে।
স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকার ফ্লোরিডায় থাকতেন বিতান। এক বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, সোহিনী আদতে ভারতীয়ই নন, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। আমেরিকায় থাকার ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়ায় কলকাতায় ফিরতে বাধ্য হন তিনি। সোহিনীর মায়ের বিরুদ্ধেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই সমস্ত অভিযোগ আর কেউ নয়, করেছেন বিতানের দাদা বিভূ অধিকারী।
আরও পড়ুন: বিতানের নাম করে ক্রাউডফান্ডিং স্ত্রী সোহিনীর
বাংলা দৈনিকটিকে বিভূ জানিয়েছেন, আদালতে সোহিনীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা চলছে। তাঁর বৈধ পাসপোর্ট তো নেই-ই, ভোটার কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে মামলা চলছে। বিভূর দাবি, সোহিনী বাংলাদেশের নাগরিক, ভারতে থাকার কোনও বৈধ অনুমতি নেই। আমেরিকার ভিসা বাতিল হওয়ার কারণে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতায় ফিরতে বাধ্য হন। সেই সময় থেকেই ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন জানাচ্ছেন সোহিনী কিন্তু তা খারিজ হয়েছে।
বিভূ আরও জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে বিতানের সঙ্গে সোহিনীর বিয়ে হয়। সে সময় ভারতীয় নাগরিকত্বের ভুয়ো কাগজপত্র দেখানো হয়েছিল। ২০১৯ সালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে বিভূ আপত্তি জানালে পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্যও হয়। সেই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন না বিভূ।
সোহিনীর মা ভারতী রায়ের বিরুদ্ধেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বিতানবাবুর দাদার। ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণের জাল নথির সাহায্যে বৈষ্ণবঘাটায় ফ্ল্যাট কেনেন ভারতী। কিন্তু সেই জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। মামলা দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে যান ভারতী। তিনি এখন সে দেশের নারায়ণগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন বিভূ।
দেখুন খবর: