কলকাতা: এসএলএসটির নিয়োগ দুর্নীতি (SLST Teacher Appointment) নিয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই দুর্নীতির ব্যাপারে সিবিআই নির্দেশ দেন। ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআইকে অনুসন্ধানের (School Service Commission) প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়।
মঙ্গলবার একক বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করল রাজ্য সরকার। ওই আবেদনে বলা হয়, রায়ের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করা হোক, দ্রুত শুনানি শুরু হোক। রাজ্য সরকারের আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাউকোর্ট। আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগেই এসএলএসটি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। কয়েকদিন আগে তিনি দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সেইমতোই প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যান হাজির হন। এজলাসে দাঁড়িয়ে অশোককুমার সাহা জানান, তিনি নিজে থেকে কোনও সই করেননি। তাঁর সই স্ক্যান করে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। এই সুপারিশ সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। বিষয়টি দেখতেন প্রোগ্রাম অফিসার স্মরজিৎ আচার্য এবং উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা। একই কথা বলেন আর এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারও।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: রাজ্যের মুখ্য সচিবকে মঙ্গলবার সকালে রাজ ভবনে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল
নিয়োগের সুপারিশপত্রে কার সই ছিল, তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠেছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একে অপরের উপর দায় চাপায়। দুই সরকারি সংস্থাই জানায়, তারা সুপারিশপত্র দেয়নি। আদালত প্রশ্ন তোলে, তাহলে সুপারিশপত্র দিল কে?
এদিন দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যানের স্বীকারোক্তিতে প্রমাণ হয়ে গেল, কমিশনের অফিসাররাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আরও জানা গিয়েছে, একই ব্যক্তিকে দুবার নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। একটি ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর, অন্যটি ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি।
প্রসঙ্গত, এসএলএসটি নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির রহস্যভেদে সোমবার সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। পরীক্ষায় না বসেও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোনও মেধা তালিকায় নাম নেই, পরীক্ষায় অসফল। তবু কী করে চাকরি মিলল, তা নিয়ে সোমবার বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআইকে অনুসন্ধানের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।