কলকাতা: অবশেষে স্বস্তি পেলেন শান্তনু সেন (Santanu Sen)। শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন বাতিলের আগে শান্তনুকে কোনও কারণ জানায়নি। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের (West Bengal Medical Council) ৪ জুলাইয়ের নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির নির্দেশ মেডিক্যাল কাউন্সিলকে উপযুক্ত নথি দিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে শান্তনুর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয় গত সপ্তাহে। ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করায় শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। অন্তত ২ বছর কারও চিকিৎসা করতে পারবেন না তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে গত মাসেই তাঁকে নোটিস ধরায় কাউন্সিল।শুধু নোটিস ধরিয়েই থেমে থাকেনি কাউন্সিল। তলবও করা হয় শান্তনুকে। কিন্তু কোনও রকম শুনানি না করেই তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা শান্তনু সেন। এদিকে, শান্তনুর বক্তব্য ছিল, তিনি রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। সোমবার কাউন্সিলের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি বলেন, ‘কী কারণে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হচ্ছে, সেটা জানানো প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: ‘দাগি বা অযোগ্যরা’ অংশ নিতে পারবেন না নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, রায় হাইকোর্টের
আদালতের নির্দেশ, মেডিক্যাল কাউন্সিল এই বিষয়ে তদন্তের যাবতীয় রিপোর্ট শান্তনু সেনকে পাঠাবেন এবং তাঁর বক্তব্য শুনবেন। শান্তনুর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য এদিন আদালতে উল্লেখ করেন, ২০ বছর ধরে শান্তনু প্র্যাকটিস করছেন। আইএমএ নির্বাচনে সফল হয়েছিলেন। হঠাৎ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ করে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “আদালত জানতে চায় না, রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বা হয়নি। কিন্তু কেন তাঁকে বলা হয়নি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ছ বছর ধরে মামলাকারী এই ডিপ্লোমা ব্যবহার করছেন, এখন কেন পদক্ষেপ করা হল?” বিচারপতি আরও বলেন, “কতজন রোগী চিকিৎসকের ডিগ্রি আর ডিপ্লোমা বোঝেন, আমি জানি না।”
অন্য খবর দেখুন