কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) অর্থোপেডিক বিভাগে এক চিকিৎসকের (Doctor) শ্লীলতাহানির ঘটনায় জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনায় তিন চিকিৎসককে সাসপেন্ড (Suspended) করে। তাঁরা ওই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় জানতে চান, কোন আইনে ওই তিন জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। ১৪ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালত বলেছে, কোন আইনে এই সাসপেনশন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। না জানাতে পারলে অবিলম্বে সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার আরজি কর হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের এক মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে সহকর্মী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাতে আরও দুই চিকিৎসক মদত দেন বলে ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ। এ ব্যাপারে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে মূল অভিযুক্ত সহ তিন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আদালতে যান চিকিৎসকরা। এদিন সেই মামলারই শুনানিতে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় ওই রায় দেন।
আরও পড়ুন:Abhishek Banerjee | ১৯ কিলোমিটার পথ হেঁটে নন্দীগ্রামে জনজোয়ারে অভিষেক
গত বছরই এক রোগীর পরিবারের তরফে আরজি কর হাসপাতালেই চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। মায়ের চিকিৎসা করাতে এসে ১৮ বছরের তরুণী হাসপাতালের ওই কর্মীর হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন বলে অভিযোগ ছিল। ওই তরুণী ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। ঘটনার জেরে তিনি কুমারগ্রামের কামাখ্যা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছিল, বাগানে চা পাতা তুলতে গিয়ে এক নালায় পড়ে আহত হয়েছিলেন ওই ১৮ বছর বয়সী তরুণীর মা। আহত মায়ের চিকিৎসায় হাসপাতালে এসে তরুণী হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।