কলকাতা: ১৬ দিন পরেও আরজি কর মেডিকেল কলেজে অচলাবস্থা অব্যহত৷ আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা নিজেদের দাবিতে অনড়৷ বর্তমানে তাঁদের প্রধান ও একমাত্র দাবি, কলেজের প্রিন্সিপালের অপসারণ৷ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হেল্থ সেক্রেটারি সঙ্গেও জনসমক্ষে আলোচনা চাইছেন তাঁরা৷ তা না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা৷ একই সঙ্গে অফিসিয়ালি তাঁরা কোনও প্রকার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন৷
হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে মঙ্গলবার কড়া পদক্ষেপ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পড়ুয়াদের জানায়। সব বিভাগীয় প্রধানদের ইন্টার্নদের জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে৷ কাজে না এলে তা গরহাজিরা হিসাবেই গণ্য করা হবে৷ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ও ডেপুটি সুপার প্রসূতি বিভাগ, ট্রমা কেয়ার ও জরুরি বিভাগে ঘুরে গরহাজির জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকাও তৈরি করেছেন। সেই তালিকা স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন-গড়িয়াহাট জোড়া খুন: আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ শুরু
আরজি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এর প্রভাব পরিষেবায় পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়৷ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়৷ প্রিন্সিপালের অপসারণ বাদে অন্যান্য দাবি কর্তৃপক্ষ মেনেও নেয়৷ কিন্তু, পড়ুয়ারা কোনও ভাবেই প্রিন্সিপালের অপসারণ ছাড়া বিক্ষোভ প্রত্যাহারে রাজি নয়৷ মঙ্গলবারও সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়৷
আরও পড়ুন-বালিগঞ্জ থেকে ট্রেনে পালিয়েছে আততায়ীরা, গন্ধ শুঁকে ইঙ্গিত স্নিফার ডগের
প্রিন্সিপালের ইস্তফার দাবিতে রিলে অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় আন্দোলনরত মেডিক্যাল পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। যতদিন না পর্যন্ত দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তাঁদের৷